মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা হেডকোয়ার্টার স্থাপনকে কেন্দ্র করে পাল্লাপাল্টি মানববন্ধন ও স্মারকলিপি
মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরে নবগঠিত ডাসার উপজেলা সদরদপ্তর উপজেলাটির মধ্যবর্তী স্থানে স্থাপনের দাবীতে পাচ ইউনিয়নের কয়েকহাজার মানুষের উপস্থিততে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মুলফটকের সামনে।
(৫ সেপ্টেম্বর) রবিবার ১১টায় মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন থেকেই কয়েক হাজার মানুষ এসে জড়ো হয় ও ডাসার উপজেলা সদরদপ্তর বরিশালের গৌরনদী ও মাদারীপুরের ডাসারের সীমান্ত বর্তী স্থানে নির্মান না করে বরং ভুরঘাটা- শশিকর অথবা পাথুরিয়ারপাড়- শশিকর রাস্তার পাশে নির্মান করা হোক এমন দাবী করেন। এসময় উপস্থিত জনতার হাতে বিভিন্ন প্লাকার্ডে লিখিত দাবিও তুলে ধরেন ও শেখ হাসিনা মহাসড়কের উপরে উঠে যান জনসাধারণ।
আয়োজিত মানববন্ধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কালকিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, জেলা পরিষদের সদস্য সৈয়দ আবুল বাশার, বালীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, কাজীবাকাই ইউপি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ হাওলাদার, নবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান বিভূতি ভূষণ বাড়ৈ, ডাসার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কাজী হেমায়েত উদ্দিন,ডাসার ইউপি আওয়ামী লীগ সভাপতি মাসুদ হোসেন খন্দকার, দেলোয়ার সরদার,শাহাদাৎ সরদার,হারন মাতুব্বর, খাইরুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
মানববন্ধনে দাবী করা হয় যে, ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে নবগঠিত ডাসার উপজেলা পরিষদের কার্যক্রম যেখানে স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেই স্থানটি উপজেলার একপ্রান্তে ও বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নিকটবর্তীতে অবস্থিত। ফলে পুরো ৫টি ইউনিয়নের জনসাধারণের সরকারি সেবা নিতে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হবে। এছাড়া নির্মিতব্য উপজেলা পরিষদের কার্যক্রমে যেখানে ভবন নির্মাণ করা হবে এবং সম্প্রসারণ করা হবে তা পাশের গৌরনদী উপজেলার মধ্যেও পড়বে। এই নবগঠিত উপজেলা পরিষদের হেডকোয়ার্টার ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে বা সংলগ্ন স্থানে উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে স্থাপনের দাবীতে আগামী কঠোর আন্দোলনের ঘোষণাও দেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এদিকে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলা গেজেট অনুযায়ী পূর্বের নির্ধারিত স্থানে হওয়ার পক্ষে, ডাসার উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ ও নেতৃবৃন্দ উপজেলার পাথুরিয়াপার ঢাকা- বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে এবং মানববন্ধন শেষে একটি প্রতিনিধিদল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।