শিরোনাম

South east bank ad

দুর্নীতি আর অনিয়মের মধ্যে চলছে হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, অভিযোগ স্থানীয় আওয়য়ামীলীগ নেতাদের

 প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

আব্দুল হক লিটন (হালুয়াঘাট):

দুর্নীতি আর অনিয়মের মধ্য দিয়ে চলছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, অভিযোগ স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের। গতকাল সোমবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ ও যুগ্ম সম্পাদক মোর্শেদ আনোয়ার খোকন। পরিদর্শন কালে বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়ম চোখে পড়েছে। অনিয়মের মধ্যে ছিল কোভিট ১৯ চলাকালে করোনা রোগী সেবা থেকে বঞ্চিত, ২ জন ডাক্তার দিয়ে চলছে হাসপাতাল, আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. সৈয়দা তানজিনা আফরিন অফিস তালাবদ্ধ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুনির আহমেদ ও প্রধান সহকারী মোঃ নুরুল মোমেনের কক্ষ খোলা তাকলেও অফিসে নেই তারা। জরুরী বিভাগে সৈয়দ সাদ ইবনে ওয়াসেক ও বহিরাগত ওয়ার্ডে রোগী দেখছেন ডাক্তার ইশরাত জাহান ও ২ জন সহকারী। ডাক্তার না থাকায় মহিলা ও পুরুষ ওয়ার্ডে ৫০ সয্যা হাসপাতালের মধ্যে রোগী ভর্তি রয়েছে ১৩ জন। হাসপাতালের দুর্গন্ধে অতিষ্ট রোগী সহ তাদের আত্মীয় স্বজনরা, করোনা রোগীদের জন্য একটি ওয়ার্ড থাকলেও কর্মরত ডাক্তারগন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে রেফার্ড করে দেন। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে অহরহ।

এইসব অভিযোগের সত্যাতা পেয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মুনির আহমেদের খামখেয়ালিপনা উল্লেখ করে বলেন, গত শনিবারে একটি কোভিটের রোগী হালুয়াঘাট হাসপাতালে নিয়ে আসলে ডাক্তার না পাওয়ায় জরুরী বিভাগ থেকে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এমন খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে এসে দেখি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুুনির আহমেদ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সৈয়দা তানজিনা, প্রধান সহকারী মোঃ নুরুল মোমেনের কক্ষে তালা ঝুলছে। এছাড়াও বহিরাগত ওয়ার্ডে সহকারী সার্জন ইশরাত জাহান একাই রোগী দেখছেন। পাশের কক্ষে নেই সহকারী ডেন্টাল সার্জন ডাঃ ফাতেমা তুজ জাহান। তার কক্ষে রোগী দেখছেন সহকারী ফারুক আহমেদ। সহকারী সার্জন ডাঃ ফাতেমা তুজ জাহান কতদিন ধরে হাসপাতালে আসেনি ফারুক আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি তার নামটাও পর্যন্ত বলতে পারেনাই। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার যোগসাজসে প্রধান সহকারী মোঃ নুরুল মোমেন করোনাকালিন সময়ে বিভিন্ন ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে আত্মসাত করেছেন মোটা অংকের টাকা। এই সব অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও প্রধান সহকারীর বদলীর সুপারিশ করেন এই নেতা।

জেনারেটর অচল, এক্সরে মেশিন বিকল, ডাক্তাদের কক্ষে ঝুলছে তালা, নোংরা অপরিষ্কার অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে রোগীদের থাকা ও খাবার পরিবেশন করায় উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মোর্শেদ আনোয়ার খোকন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে যে হাসপাতালের রোগীরা তাদের সেবা থেকে বঞ্চিত, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুনির আহমেদকে মোটা অংকের টাকার দিয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত অন্যান্য ডাক্তারগন কর্মস্থলে আসেনি। রোগীর সংখ্যা যতেষ্ট থাকলেও বিভিন্ন ইউনিয়নের ক্লিনিক গুলোতে নিয়োজিত থাকা ডাক্তারগনের সেবা থেকে বঞ্চিত সংশ্লিষ্ট রোগীরা। তিনিও এই দুই কর্মকর্তার দ্রুত বদলি করতে সিভিলসার্জনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

এ সকল অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে টিএইচও মুনীর আহমেদ অভিযোগের বিষয়গুলো অস্বীকার করে বলেন, তিনি ও তার প্রধান সহকারী মোঃ নুরুল মোমেন, আরএমও ডা. সৈয়দা তানজিনা আফরিন তাড়া ছুটিতে আছেন। এদিকে আরএমও ডা. সৈয়দা তানজিনা আফরিন নিয়মিত হাসপাতালে রোগী না দেখে বেশির ভাগ সময় রোগী দেখেন ক্লিনিকে, এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কয়েকটি সংবাদ প্রকাশ করা হলেও তিনি নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করেই মনগড়া ভাবে ক্লিনিকে রোগী দেখেই চলছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: