ময়মনসিংহে লকডাউনে কড়াকড়ি সত্ত্বেও রাস্তায় প্রচুর মানুষ, ২,৮৯৫ মামলায় জরিমানা
এইচ এম জোবায়ের হোসাইন (ময়মনসিংহ):
ময়মনসিংহ বিভাগ এখনও করোনাভাইরাসের হটসপট। কিছুদিন কম থাকলেও ইদানিং আবারো আক্রান্ত, মৃত্যু, ঝুঁকি, আতংক এই বিভাগে সবই বাড়ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউনে কড়াকড়ি অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। শহর এলাকার অলি-গলি এবং গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারে মানুষ লকডাউনের বিধিনিষেধ মানছেনা। সরকার বাইরে সকলকে মাস্ক পড়া বাধ্যতামূলক করলেও অনেক মানুষই মাস্ক পড়ছেন না। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বলে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক সর্বশেষ জারিকৃত নির্দেশনা অনুযায়ী লকডাউনের গত এক সপ্তাহে ময়মনসিংহ জেলায় ২ হাজার ৮৯৫টি মামলায় মোট ২১লাখ ৪৩ হাজার ৩২০টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১৬ ঘন্টার টানা কর্মতৎপরতায় জেলাজুড়ে সপ্তাহ জুড়ে দেনে ৪৪৮টি আইন শৃংখলাবাহিনীর টীমএবং ৩২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে এ জরিমানা করা হয় বলে বিষয়টি নিশ্চিতকরেছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।কড়াকড়ি আরোপের পরও রাস্তায় যানবাহন ও মানুষের চলাচল অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আয়েশা হক বলেন, লকডাউন বাস্তবায়নে ময়মনসিংহ জেলার ১৩টি উপজেলায় ১৩ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১১জন সহকারী কমিশার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসন নিয়োজিত ২৩জন ও সিটিকর্পোরেশনের ১জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোর থেকে অভিযান পরিচালনা করে আসছেন।
মাঠ পর্যায়ের মোবাইল টীমকে মনিটরিং করতে ভোর থেকে রাত অবদি ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামানসহ এডিএম, এডিসিএবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপারগণ ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন। নগরীর মোড়ে মোড়ে পুলিশ চেকপোস্টে জবাবদিহিতা করতে হচ্ছে বাইরে বের হওয়া মানুষকে।
আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা সত্ত্বেও মানুষ বাসার বাইরে যত্রযত্র অবস্থান করছে।
লকডাউনে ময়মনসিংহ জেলায় এবং নগরীতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতকরণে অভিযান পরিচালনা করে। জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয়ের মাধ্যমে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, এপিবিএন এবং আনসারেরটীম অভিযানে অংশ নেয়।অভিযানপরিচালনায় সার্বক্ষণিক ভাবে সহযোগিতা করে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য বিধিনিশ্চিত করণে স্কাউট, বিএনসিসি ও বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন জেলা প্রশাসন সহায়তা করে। এছাড়া রাতভর টহলের জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েন করা হয়।
এ ছাড়া লকডাউনের সার্বিক কার্যক্রম পরিদর্শন করছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, জেলা পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক একেএম গালিভ খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরিন সুলতানা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আয়েশা হক এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সমর কান্তি বসাক।