শিরোনাম

South east bank ad

স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে : আতিকুল ইসলাম

 প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন-ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেছেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কাজ করে যাচ্ছে। সুস্থ্য, সচল ও আধুনিক ঢাকা গড়ার লক্ষ্যে দখল, দূষণ ও দুর্বৃত্তায়নের বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। নিজের পরিবার, শহর ও দেশকে সুরক্ষিত রাখতে সকলকেই মাস্ক পরিধান করতে হবে এবং সরকারী নির্দেশনাসহ স্বাস্থ্যবিধিসমূহ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকাকে দখল, দূষণ ও দুষ্ট লোকের কবল থেকে মুক্ত করে সবার বাসযোগ্য একটি সুস্থ্য, সুন্দর ও আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সকলকে নিজস্ব অবস্থানে থেকেই জনকল্যাণে কাজ করতে হবে।
রোটারী ইন্টারন্যাশনাল এর পক্ষ থেকে ডিএনসিসির মেয়র মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম, "সবাই মিলে সবার ঢাকা"র স্বপ্নদ্রষ্টা তৌফিক জাহিদুর রহমান এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "বিডি ক্লিন"কে রোটারী স্প্রিট অফ সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
গতকাল শনিবার রাজধানীর রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে রোটারী ক্লাব, সোনারগাঁও ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত রোটারী ডিস্ট্রিক্ট কনফারেন্স-২০২১ এ সময়োপযোগী ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জন্মলগ্ন থেকেই রোটারী ইন্টারন্যাশনাল মানব সেবায় কাজ করে আসছে। বিশ্বব্যাপী পোলিও নির্মূলে এর ভূমিকা খুবই প্রশংসনীয়।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারীর প্রথম দিকে যখন কেউ করোনা আক্রান্ত মানুষের কাছে যেতেও ভয় পেতো সেই সময়েও তিনি মহান সৃষ্টিকর্তার উপর ভরসা করে নির্ভয়ে অসহায় মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, করোনাকালে “সবাই মিলে সবার ঢাকা” এর মাধ্যমে ৭৬ হাজার অসহায় পরিবারের নিকট খাবার পৌঁছে দেয়া হয়েছে, এই কার্যক্রম এখনো অব্যাহত রয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন "বিডি ক্লিন" সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এসব খাবার প্যাকেট এবং বিতরণ করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য তিনি "সবাই মিলে সবার ঢাকা" এবং "বিডি ক্লিন" এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবার জন্যই রাজধানীর মহাখালীতে সাত দশমিক এক সাত একর জমিতে তৈরী এক লাখ ৮০ হাজার ৫ শত ৬০ বর্গফুট আয়তনবিশিষ্ট ডিএনসিসির একটি বিপণীবিতানকে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট দেশের সর্ববৃহৎ "ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল" এ রুপান্তরিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এই ভবনটি মার্কেটের জন্যই করা হয়েছিল। এখানে আড়াই শতাধিক দোকান বরাদ্দও দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে বোর্ড মিটিংয়ের মাধ্যমে সেই বরাদ্দ বাতিল করতে হয়েছে। এখানে বছরে ডিএনসিসির প্রায় একশত কোটি টাকা আয়ের সম্ভাবনা থাকলেও বিপদের সময় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই মার্কেটটিকে হাসপাতালে রুপান্তরিত করা হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, মহামারী চলাকালীন এই হাসপাতালটি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে। মহামারী শেষ হলে এটি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের জেনারেল হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত হবে, যেখানে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হবে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ডিএনসিসি বিভিন্ন জায়গায় খাল উদ্ধার ও পরিস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে, জনগণের সহায়তায় তা অব্যাহত থাকবে। প্রতিটি খালের দুই পাড়ের সীমানা নির্ধারণ করে তা যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। খালগুলো উদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষণে রোটারীয়ানদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
ডিএনসিসি মেয়র করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে সাধারণ মানুষের মাঝে বিতরণের জন্য তাঁর পক্ষ থেকে আজ রোটারী ইন্টারন্যাশনালের নিকট ১ লক্ষ মাস্ক হস্তান্তর করেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: