ঈদের দিনও বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে মসজিদে হট্টগোল আহত ৫

খন্দকার রবিউল ইসলাম (রাজবাড়ী):
ঈদের দিন মসজিদের উন্নয়ন বিষয়ক বক্তব্য দিতে গিয়ে উন্নয়ন কাজে অসহযোগিতা কারীদের সমালোচনা করেন সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ হোসেন।
আজ ১৪ মে পবিত্র ঈদুল ফিতর নামাজের সময় পাংশার সরিষা ইউপির বহলাডাঙ্গা কারিকরপাড়া জামে মসজিদে এঘটনা ঘটে।
জানা গেছে এবিষয় নিয়ে তার বিরোধী মহল সরিষা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান আজমল আল বাহার প্রতিবাদ জানাতে জুম্মার নামাজের সময় মসজিদে কিছু লোক পাঠায়, মসজিদে খুৎবার সময় বাহার চেয়ারম্যানের সমর্থিত লোকজন কথা বলতে চাইলে মসজিদে অবস্থানরত সরিষা ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সোবাহান ও তার সমর্থিত লোকজন বাধা দিলে মসজিদের মধ্যে গোলযোগের সৃষ্টি হয়। সোবাহান চেয়ারম্যান লাঞ্ছিত হওয়া সহ কয়েকজন আহত হয়, খবর পেয়ে পাংশা থানার ওসি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
এবিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ হোসেন জানান, জুম্মার নামাজের সময় হঠাৎ বোমা ফাটানোর শব্দ পাওয়া যায়। পরে বোমার শব্দ শুনে সবাই নামাজ ছেড়ে যে যারমত দৌড়ে পালাতে থাকে। এসময় আমি মসজিদের মধ্যে ই আটকা পরি। এসময় আমাকে লক্ষ করে বর্তমান চেয়ারম্যানের লোকজন ২টি গুলি বর্ষন করে। তার সমর্থকরা আমাদের ৫টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। এঘটনায় পাংশা থানায় ৩৬জনকে আসমী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সরিষা ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আজমল আল বাহার বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন মসজিদে বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে নাস্তিক বলেছে। শুধু তাই নয় আমার কিছু সর্থকদেরও তিনি নাস্তিক বলে হুমকি মূলক কথা বলেন। তাও আউট র মাইকে এ ধরনের বক্তব্য দেন। পরে মসজিদে অবস্থানরত কয়েকজন মুসল্লী মসজিদের ভিতরে রাজনৈতিক আলোচনা না করার জন্য অনুরোধ করেন কিন্তু তিনি মুসল্লীদের কথার কোন কর্ণ প্রাত করেন নি।
পরবর্তীতে দুপুরে জুম্মার নামাজের সময় আমার কিছু সমর্থক সকালের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যান বাধা দিয়ে বলেন নামাজের পরে এ বিষয়ে কথা বলবে। পরে নামাজ শেষে মতিয়ার কথা বলতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যান তাকে মসজিদের ভিতরেই কিল ঘুষি মারেন। এসময় দুই পক্ষের লোকজনের সাথে সংঘর্ষ বাধে। সবেক চেয়ারম্যান এর লোকজন ৪টি বাড়ি ও এক দোকান ঘর ভাংচুর করা হয়েছে এবং ৪জনকে মেরে আহত করেছেন বলে দাবি বর্তমান চেয়ারম্যানের। এঘটনায় আহত হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, ও আমজাদ হোসেন এর ছেলে মতিয়ার হোসেন (৫৩), আতিয়ার হোসেন (৫০), গোলাম মোস্তফার ছেলে আনোয়ার মল্লিক (৩২)।
পাংশা থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ শাহাদত হোসেন জানান, আদি আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মসজিদে দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। এঘটনায় দুই পক্ষের ২/৩জন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি।
এঘটনায় দুই পক্ষ থেকেই অভিযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন ওসি। তিনি আরো বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।