শিরোনাম

South east bank ad

দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন

 প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   শেয়ার বাজার

দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন

দেশের পুঁজিবাজারে এমনিতেই দীর্ঘমেয়াদি মন্দা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে গতকাল ইরানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হামলার খবরে পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক সূচক ডিএসইএক্স ১ দশমিক ৬২ শতাংশ কমেছে। পাশাপাশি এক্সচেঞ্জটির দৈনিক গড় লেনদেনও কমেছে।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গতকাল সকাল ১০টায় লেনদেন শুরুর পর থেকেই আতঙ্কিত বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে থাকেন। এর প্রভাবে দিনভর পয়েন্ট হারায় সূচক। গতকাল দিন শেষে ডিএসইএক্স সূচক ৭৬ দশমিক ৮ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৬৭৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ দিনের ব্যবধানে ২৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৫৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গতকাল ২১ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১১৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। গতকাল সূচকের পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি (বিএটিবিসি), ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, আল-আরাফাহ্‌ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক ও স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ার।

ডিএসইতে গতকাল ২৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকার সিকিউরিটিজ লেনদেন হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ৩০৫ কোটি টাকা। এদিন লেনদেন হওয়া ৩৯৭টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দিন শেষে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৩৬৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল ১৬টির বাজারদর।

বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চলমান ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের কারণে বিনিয়োগকারীরা অনেক আগে থেকেই বাজারবিমুখ ছিলেন। এছাড়া ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পর বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফলে ক্ষতি এড়াতে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রির দিকে ঝুঁকে পড়েন।

খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, গতকাল ডিএসইর মোট লেনদেনের ২২ দশমিক ১ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ দখলে নিয়েছে ব্যাংক খাত। ১১ দশমিক ৪ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। বস্ত্র খাত ৯ দশমিক ৬ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল। পঞ্চম অবস্থানে থাকা জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।

গতকাল ডিএসইতে সব খাতের শেয়ারেই নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩ দশমিক ৯ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে কাগজ ও মুদ্রণ খাতে। এছাড়া আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতে ৩ দশমিক ২ শতাংশ, সিরামিক খাতে ৩ দশমিক ১, সেবা ও আবাসন খাতে ২ দশমিক ৯ এবং সাধারণ বীমা খাতে ২ দশমিক ৭ শতাংশ নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে।

দেশের আরেক পুঁজিবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) নির্বাচিত সূচক সিএসসিএক্স গতকাল ৯৭ দশমিক ২ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ১৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইর সব শেয়ারের সূচক সিএএসপিআই গতকাল ১৭১ দশমিক ৫ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৯৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এদিন এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হওয়া ২০৭টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টির, কমেছে ১৫৩টির আর অপরিবর্তিত ছিল ২৫টির বাজারদর। গতকাল সিএসইতে ৩১ কোটি টাকার সিকিউরিটিজ হাতবদল হয়েছে, আগের কার্যদিবসে যা ছিল ১১ কোটি টাকা।

BBS cable ad