শিরোনাম

South east bank ad

‘আনসার আল ইসলাম’ এর ৪ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪ঃ উগ্রবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার

 প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   র‍্যাব


জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রত্যয় নিয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দৃঢ় অবস্থানে রয়েছে এলিট ফোর্স র‌্যাব। র‌্যাবের তৎপরতার কারণে বিভিন্ন সময়ে নাশকতা সৃষ্টিকারী জঙ্গী সংগঠন সমূহের শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্থরের নেতা-কর্মীদেরকে গুরুত্বপূর্ণ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। তবে র‌্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর গোয়েন্দা নজরদারী ও অভিযানের ফলে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গী সংগঠনগুলোর নেতা কর্মীরা পুনরায় সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে বার বার ব্যর্থ হয়েছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে ধৃত হয়েছে। জঙ্গী দমনে বাংলাদেশের সফলতা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বেশ প্রশংসিত।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখে র‌্যাব-৪ কর্তৃক গ্রেফতারকৃত ‘আনসার আল-ইসলাম’ এর ০৪ সদস্য হতে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ১২ ফেব্রæয়ারি ২০২১ ইং তারিখ ২৩.২০ ঘটিকা হতে ১৩ ফেব্রæয়ারি ০২.৩৫ ঘটিকা পর্যন্ত র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল রাজধানীর ভাষানটেক ও গাজীপুর জেলার টঙ্গি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন “আনসার আল ইসলাম” এর ০১ নারীসহ নিম্নোক্ত ০৪ জন সক্রিয় সদস্য’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

(ক)     মোঃ মাহবুব আলম (২৫), জেলা- ময়মনসিংহ।
(খ)     মোঃ আমিরুল ইসলাম (২৪), জেলা- কুমিল্লা।
 (গ) মোঃ মামুন মিয়া (২৫), জেলা- কিশোরগঞ্জ।
(ঘ) মোসাঃ শাহিদা বেগম (২৪), জেলা- বরিশাল।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে এবং তাদের নিকট থেকে ‘আনসার আল ইসলাম’ এর বিভিন্ন ধরনের ১২ টি উগ্রবাদী বই, ০৬ টি মোবাইল এবং ১১৫ টি জঙ্গিবাদী কথোকথনের প্রমাণাদি জব্দ করা হয়।

মোঃ মাহবুব আলম'কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে এইচএসসি পাশ করে একটি বেসরকারী সিকিউরিটি কোম্পানীতে গার্ড হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি মধু ও দুধের ব্যবসা করে আসছে। সে বিগত ৪ বছর যাবৎ ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সক্রিয় সদস্য হিসেবে ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপনের পাশাপাশি অন্যদের উদ্ধুদ্ধকরণের জন্যে অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী মতবাদ প্রচার করে আসছিলো।

মোঃ আমিরুল ইসলাম'কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে টঙ্গি এলাকায় জুয়েলারী ব্যবসার কারিগর হিসেবে কাজ করত। সে গত ১ বছর যাবৎ ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সাথে জড়িত থেকে তাদের নিজস্ব ইলেকট্রনিক গ্রুপে ও অনলাইনে বিভিন্ন উগ্রবাদী লেখালেখি এবং ভিডিও প্রচার করে আসছিলো।

মোঃ মামুন মিয়া'কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে পেশায় একজন ড্রাইভার। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় গ্রেফতারকৃত মোঃ মামুন গত ৪ বছর যাবত ‘আনসার আল ইসলাম’ এর সাথে জড়িত থেকে অন্যান্য সদস্যদের সাথে গোপন বৈঠকের পাশাপাশি চাঁদা ও নতুন সদস্য সংগ্রহ করে আসছিলো।

মোসাঃ শাহিদা বেগম'কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে পেশায় একজন ছাত্রী এবং 'আনসার আল ইসলাম’ এর সাথে জড়িত থেকে নতুন মহিলা সদস্য সংগ্রহ করে আসছিলো। এছাড়াও সে তার পরিবারের সদস্যদের থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গত ৬ মাস আগে একই উগ্রবাদি মতাদর্শে বিশ্বাসী মোঃ মামুন মিয়া এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে উগ্রবাদি কার্যক্রম আরো বেগবান করার প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছিলো বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করে।

গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য সহোচরদের গ্রেফতারে র‌্যাব এর গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
BBS cable ad

র‍্যাব এর আরও খবর: