০১ টি তক্ষকসহ ০৭ জন পাচারকারী’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪

র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, র্যাব এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, ধর্ষণ, অপহরণ, চাঁদাবাজি, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাসী গ্রেফতার এবং জঙ্গীবাদের মত ঘৃণ্যতম অপরাধের রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পাচার রোধে র্যাবের জোড়ালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোঃ আনিসুর রহমান এর নেতৃত্বে এবং বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রন বিভাগের পরিদর্শক নারগিস সুলতানা লিজা এর সহযোগিতায় ২২/০১/২০২১ তারিখ ১৯.০৫ ঘটিকায় ঢাকা মহানগরীর দারুস সালাম থানাধীন মাজার রোডস্থ এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী তক্ষক সংরক্ষণ ও পাচার করার অপরাধে “বন্যপ্রাণী সংরক্ষন ও নিরাপত্তা আইন ২০১২ এর ৩৪(খ)” ধারায় নিম্নোক্ত ০৭ জন পাচারকারী’কে বিনাশ্রম কারাদন্ড ও অর্থদন্ড প্রদান করা হয়ঃ
ক। আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৪) জেলা- ময়মনসিংহ’কে ০১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
খ। মোঃ সজিব (২৩) জেলা-ময়মনসিংহ,
গ। মোঃ সাইফুল ইসলাম (৫৮) জেলা- ময়মনসিংহ,
ঘ। মোঃ ইউসুফ (৪১) জেলা- বরিশাল,
ঙ। মোঃ শাহাবুদ্দিন (৩৯) জেলা- বাগেরহাট,
চ। মোঃ আনিসুর রহমান (৪৮) জেলা- পাবনা এবং
ছ। মোঃ জাকির হোসেন (৪২) জেলা- ঢাকা’দের প্রত্যেককে ৫০,০০০/- টাকা করে সর্বমোট ৩,০০,০০০/- টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ০১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। ধৃত আসামীরা জরিমানাকৃত অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হলে তাদের প্রত্যেককে ০১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কেরানীগঞ্জে প্রেরণ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ধৃত আসামীরা দীর্ঘদিন যাবৎ পরস্পর যোগসাজসে লোক চক্ষুর আড়ালে দেশের বিভিন্ন জেলা হতে তক্ষকসহ অন্যান্য বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রাণী সংগ্রহ করে পাচারের উদ্দেশ্যে চড়াদামে বিক্রয় করে আসছে। পরবর্তীতে উদ্ধারকৃত তক্ষক টি বন্যপ্রাণী অপরাধ নিয়ন্ত্রন বিভাগের কর্মকতাদের উপস্থিতিতে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যান, মিরপুর-১ এ অবমুক্ত করা হয়।
ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পাচাররোধে র্যাবের এ ধরনের জোড়ালো অভিযান অব্যাহত থাকবে।
