স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নির্মূলই বিজয় দিবসের প্রত্যয় : বিপ্লব সরকার
আজ পুলিশ অফিস সম্মেলন কক্ষে সকল অফিসার ইনচার্জ গণের সাথে বিশেষ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রংপুর জেলা পুলিশ সুপার, বিপ্লব কুমার সরকার বিপিএম , পিপিএম
উক্ত মতবিনিময় সভার শুরুতেই পুলিশ সুপার রংপুর বলেন, বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব তার চেতনা অবিনশ্বর। বাঙালি জাতির অস্তিমজ্জায় মিশে আছেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মুজিবাদর্শে শানিত বাংলার আকাশ-বাতাস জল-সমতল। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান থাকবে। জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পুলিশ সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছে। যতদিন এ দেশ থাকবে, এ জাতি থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু থাকবে। বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের পুলিশ সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ করেছে। বর্তমান পুলিশ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পুলিশ।
বিশেষ মতবিনিময় সভায় সকলকেই মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু যে উন্নত রাষ্ট্র গড়তে চেয়েছিলেন, স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় তাঁকে হত্যা করার কারণে তিনি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। কিন্তু আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। এখানেই বাংলাদেশের সার্থকতা। তিনি বলেন, ‘আজ অর্থনৈতিক, মানব উন্নয়ন, সামাজিক—সব সূচকে আমরা যা অতিক্রম করেছি, অনেক সূচকে আমরা তা ছাড়িয়ে গেছি, এখানেই বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধুকন্যার সার্থকতা। এই ষড়যন্ত্র রুখতে বাংলাদেশে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করাই বিজয়ের এই দিনে প্রত্যয় বলে ঘোষণা করেন পুলিশ সুপার রংপুর।
তিনি আরো বলেন দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মৌলিক অধিকার, মানবাধিকার ও আইনের শাসনকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। সমাজে নারী, শিশু ও প্রবীণদের প্রতি সংবেদনশীল আচরণ করতে হবে। সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূলে জনসম্পৃক্ততার মাধ্যমে জনবান্ধব পুলিশ গঠনে আপনাদের অগ্রপথিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, রংপুর জেলা পুলিশ সার্বিক কল্যাণে নিয়োজিত থাকবেন। মানুষ বিপদের সময় পুলিশের কাছেই সাহায্য চায়। তাই সেবা ও মানবিক আচরণের মাধ্যমে মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে। পুলিশ সদস্যদের জনগণের প্রত্যাশা পূরণের আহ্বান জানিয়ে পুলিশ সুপার মহোদয় বলেন, ‘তার জন্য দরকার চৌকস, পেশাদার, দক্ষ ও জনবান্ধব পুলিশ সার্ভিস। আমরা সেটা গঠন করতে দৃঢ়প্রতিঞ্জা।
বিশেষ মতবিনিময় সভায় অফিসার ইনচার্জ গণের উদ্দেশ্য পুলিশ সুপার রংপুর আরো বলেন মূলতবী মামলা সমূহের তদন্ত কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করে নিষ্পত্তি করার জন্য বিবিধ নির্দেশনা প্রদান করেন, সাধারন মানুষের দোরগোড়ায় আরও বেগবান হয়ে সেবাদান চলমান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান একই সাথে কোন অফিসারের বিরুদ্ধে অপেশাদার আচরণের অভিযোগ পেলে ছাড় দেয়া হবেনা জানান। থানা এলাকায় কোন প্রকার সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ বৃদ্ধি না পায় বা কোন প্রকার নাশকতামূলক কর্মকান্ড না ঘটে সেদিকে নজরদারী বাড়ানোসহ দৃশ্যমান পুলিশিং এর জন্য সকলকে জোর আহ্বান জানান। উভয় থানা এলাকায় বিট পুলিশিং ব্যবস্থা জোড়দার করার জন্য বিট অফিসারদের প্রতি মনিটরিং বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
এ সময় উক্ত মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন মধুসূদন রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রসাশন ও অপরাধ) রংপুর, মারুফ আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বি- সার্কেল) রংপুর, আবু তৈয়ব মোহাম্মদ আরিফ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এ- সার্কেল) রংপুর, মোঃ আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) রংপুর, জনাব মোঃ কামরুজ্জামান, পিপিএম-সেবা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ডি-সার্কেল) রংপুর, এবং মোঃ আরমান হোসেন, পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার(সি-সার্কেল), রংপুরসহ জেলা পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

