নীলফামারী জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
২৬ আগস্ট ২০২০ খ্রিস্টাব্দ দুপুর ০৩ঃ০০ ঘটিকায়,পুলিশ সুপার, নীলফামারী জনাব মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান বিপিএম,পিপিএম এর সভাপতিত্বে পুলিশ সুপারের কার্যালয় এর কনফারেন্স রুমে মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখা, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল, মামলার রহস্য উদঘাটন সহ বিশেষ ভূমিকার স্বীকৃতি হিসেবে কর্মদক্ষতা যাচাই করে জুন-জুলাই/২০২০ মাসে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য পুরস্কৃত করেন পুলিশ সুপার।
জুন/২০২০ মাসে পুরস্কারপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ অফিসারের তথ্যাদি।
শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন জনাব অশোক কুমার পাল, পিপিএম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সৈয়দপুর সার্কেল,নীলফামারী।
শ্রেষ্ঠ থানা জনাব আবুল হাসনাত খান, পুলিশ পরিদর্শক,অফিসার ইনচার্জ, সৈয়দপুর থানা,নীলফামারী।
শ্রেষ্ঠট্রাফিকঅফিসার জনাব মোঃ আজাদ হোসেন খান, টিআই, সদর নীলফামারী।
শ্রেষ্ঠএসআই জনাব মোহাম্মদ আজম হোসেন প্রধান, এসআই ডোমার থানা, নীলফামারী।
শ্রেষ্ঠওয়ারেন্টতামিলকারীঅফিসার এএসআই জনাব মোহাম্মদ মনসুর আলী, সদর থানা, নীলফামারী।
শ্রেষ্ঠজিআরও এএসআই জনাব স্বপন কুমার রায়, সদর কোট, নীলফামারী।
জুলাই/২০২০ মাসে পুরস্কারপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ অফিসারের তথ্যাদি।
শ্রেষ্ঠ সার্কেল অফিসার জনাব জয়ব্রত পাল, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, ডোমার সার্কেল, নীলফামারী।
শ্রেষ্ঠ থানা জনাব মোঃ মোস্তাফিজার রহমান, পুলিশ পরিদর্শক, অফিসার ইনচার্জ, ডোমার থানা, নীলফামারী।
শ্রেষ্ঠ এসআই জনাব মোঃ সাহিদুর রহমান, এসআই সৈয়দপুর থানা, নীলফামারী।
শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার জনাব মোঃ সাহিদুর রহমান, এসআই সৈয়দপুর থানা, নীলফামারী।
শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক অফিসার জনাব আশরাফ হোসেন (কুরাইশী) সার্জেন্ট,সৈয়দপুর ট্রাফিক।
শ্রেষ্ঠ বিট পুলিশিং অফিসার বিট নং ০১
জনাব মোঃ রাফায়েত হোসেন, এসআই, কিশোরগঞ্জ থানা,নীলফামারী।
শ্রেষ্ঠ জিআর ও জনাব মোঃ ওয়াহেদুজ্জামান (জিআরও) ডোমার ও কিশোরগঞ্জ থানা।
জুন-জুলাই-২০২০ মাসে বিশেষ পুরষ্কার প্রাপ্ত কৃতিত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর কিছু বিবরণ
(১)পুলিশ পরিচয়ে গ্রেফতার প্রতারক চক্রের ০৩ সদস্য
বিস্তারিতঃ- বাদী মোঃ আব্দুর রহিম (৫০), গংগাচড়া উপজেলা হতে গত ০৬ জুন ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ, সকাল আনুমানিক ১০ঃ০০ ঘটিকায় ব্যক্তিগত কাজে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে আসেন। উক্ত স্থানে তিনজন অজ্ঞাতনামা প্রতারক সদস্য ভিকটিমকে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও তারা নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে উক্ত ভিকটিমকে থানায় নেওয়ার কথা বলে, প্রতারকরা তাদের ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে ভিকটিমকে শারিরিক নির্যাতন সহ ভয়-ভীতি দেখিয়ে প্রতারক দলের নারী সদস্য আসামি আকলিমাকে দিয়ে অশ্লীল ভিডিও করে মানসম্মানের ভয় দেখিয়ে ০৫ লক্ষ টাকা দাবি করে।
ভিকটিম তৎক্ষণাৎ ২০ হাজার টাকা দিলে বাকি টাকা দেওয়ার শর্তে তারা তাকে ছেড়ে দেয়।
পরবর্তীতে ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে অফিসার ইনচার্জ সৈয়দপুর থানা এর নির্দেশে প্রতারক চক্রের ০৩ সদস্য কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
(২) জলঢাকা থানা নীলফামারী পুলিশের সহযোগিতায় বৃদ্ধা গেদোবালা ফিরে গেল নিজ বাড়িতে।
বিস্তারিতঃ-
প্রাণ প্রিয় সন্তান ও জামাতার কাছে আশ্রয় না পাওয়া বৃদ্ধা গেদোবালা(৮৫),জলঢাকা থানাধীন সাইডনালা বাজারে অযত্ন-অবহেলা ও অনাহারে পড়ে থাকে। গত ১৪ জুলাই ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এঁর সংবাদের প্রেক্ষিতে জলঢাকা থানা, নীলফামারী পুলিশ উক্ত বৃদ্ধাকে উদ্ধার পূর্বক পরিবারের সাথে থাকার সুব্যবস্থা করে দেন।
উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে।
(৩) অজ্ঞাত বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুকে আপন করে নিয়েছে ডোমার থানা নীলফামারী পুলিশ।
বিস্তারিতঃ-
বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী অজ্ঞাত শিশুকে উদ্ধার করে থানায় হেফাজতে রেখে অফিসার ইনচার্জ ডোমার থানা সহ থানার সকল সদস্য উক্ত শিশুর প্রতি মানবিক আচরণ করেন।
এমনকি গত পবিত্র ঈদ-উল আযহা উদযাপন উপলক্ষে উক্ত শিশুকে নতুন পোশাক দিয়ে ঈদ উদযাপন করান এবং অফিসার ইনচার্জ উক্ত শিশুকে নিজ সন্তানের মত আদর যত্ন করেন।
পরবর্তীতে উক্ত শিশুর পিতৃপরিচয় জানার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিশুর ছবি সহ ফেসবুকে ব্যাপক প্রচার করেন। কয়েকদিন পর উক্ত শিশুর খোঁজে জনাব মোঃ আব্দুর রশিদ, জনাব মোছাম্মদ সায়েরা বেগম, গ্রামঃ কাজিরহাট, থানাঃ মোহনগঞ্জ,জেলাঃ নেত্রকোনা। তারা উক্ত শিশুকে দেখে তাদের সন্তান বলে দাবি করলে পরবর্তীতে যাচাই বাছাই পূর্বক অফিসার ইনচার্জ উক্ত শিশুর পিতা-মাতা তারা বলে শনাক্ত করেন।
ঘটনাটি ফেসবুকসহ অন্যান্য গণমাধ্যমে প্রচার হলে স্থানীয় জনগণের মধ্যে পুলিশের প্রতি আস্থা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছ।
বিশেষ কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বিশেষ পুরস্কার প্রাপ্ত অফিসারদের নাম।
জনাব মোঃ আবুল হাসনাত খান, পুলিশ পরিদর্শক,অফিসার ইনচার্জ, সৈয়দপুর থানা,নীলফামারী।
জনাব মোঃ ফজলুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জলঢাকা থানা, নীলফামারী।
জনাব মোঃ সোহেল রানা,পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ডিমলা থানা,নীলফামারী।
জনাব মোঃ নুরুল হক, এস আই,জলঢাকা থানা,নীলফামারী।
জনাব মোঃ মোকছেদুল হক, এসআই, জলঢাকা থানা, নীলফামারী।
জনাব মোঃ মিজানুর রহমান, এএসআই ডোমার থানা, নীলফামারী।
উক্ত অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জনাব আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল জনাব মোঃ রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সৈয়দপুর সার্কেল জনাব অশোক কুমার পাল, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, ডোমার সার্কেল জনাব জয়ব্রত পাল সহ বিজ্ঞ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, সকল থানার অফিসার ইনচার্জ, ওসি ডিবি, ডিআইও ১, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।


