ভালুকায় ধর্ষন মামলার আসামি গ্রেফতার
জাহিদুল ইসলাম খান (ভালুকা):
ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ষন মামলার আসামি গ্রেফতার হয়েছে। জানা যায় ফুলপুর উপজেলার পূর্ব বাখাই গ্রামের রুহুল আমিনের বড় ছেলে বর্তমানে ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের ধলিকুড়ি গ্রামের উলুমুল কোরআন আদর্শ মাদরাসায় কর্মরত প্রিন্সিপাল মাওলানা সিদ্দিকুর রহমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ঘড়ে উঠে মেদুয়ারী ইউনিয়নের বনকোয়া গ্রামের আব্দুল হাইয়ের মেয়ে বর্তমানে হাতিবেড় গ্রামের তমছের আলীর বাড়িতে অবস্থান রত তার নাতনী সুরভি আক্তারের। ঘটনার সূত্রপাত ৮/৯ মাস আগে সুরভি আক্তার অসুস্থ্য হলে তাকে কবিরাজি চিকিৎসার জন্য মাদরাসার শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানের কাছে নিয়ে আসা হয়। তার পর থেকেই তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক ঘড়ে উঠে। কিছুদিন পর সিদ্দিকুর রহমান সুরভি আক্তারকে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষন করে। সুরভি আক্তার বলেন, গত রোজার ৩/৪ দিন আগে মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান তার বোনের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দিবার কথা বলে ফুলবাড়িয়া নিয়ে যায়। সেখানে একটা রুম ভাড়া নিয়ে আমাকে ধর্ষন করে। কিন্তু এখন আমি বিবাহের কথা বললেই নানা তালবাহানা শুরু করে এবং বলে যে তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক ছিলোনা। এবং আমি তোমাকে বিবাহ করতে পারবোনা। এ ঘটনা আমি উথুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বাচ্চুর কাছে মৌখিক ভাবে বিচার চাই। পরে চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানকে পরিষদে ডেকে এনে ঘটনা জানতে চায় এবং কেন বিয়ে করবেনা জানতে চায়। ততক্ষনে সিদ্দিকুর রহমানের মাদরাসার ছাত্ররা সহ কিছু সন্ত্রাসী পরিষদে হামলা করে এবং আমার উপর এবং চেয়ারম্যানের উপর হামলার চেষ্টা করে। পরে ভালুকা মডেল ঘটনার ওসি মাহমুদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় সুরভি আক্তার বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় মামলা নং- ২৮ তাং ১৬-০৬-২০২১ ইং দায়ের করে। পরে রাতেই আসামি সিদ্দিকুর কে গ্রেফতার করে ভালুকা থানা পুলিশ। পরে তাকে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল ইসলাম বলেন এ ঘটনায় মামলা রজু হয়েছে এবং আসামী গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
p