যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ৩০ ফ্যান উদ্ধার, ২ জনকে গ্রেফতার করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ

বিগত ০১/০৩/২০২১ খ্রিস্টাব্দের পূর্বে যে কোন সময়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন জাফরপুর এলাকায় অবস্থিত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের পাঁচ তলা ছাত্রাবাসের দ্বিতীয় তলা থেকে পাঁচ তলা পর্যন্ত ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষ হতে সর্বমোট ৪৮ টি বৈদ্যুতিক ফ্যান চুরি হয়ে যায় মর্মে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা থানার মামলা নং-০১, তারিখ-০১/০৩/২০২১ ইং, ধারা-৩৮০ পেনাল কোড রুজু করা হয়।যেহেতু যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং এই সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারি মালামাল চুরি হয়ে গেছে সেহেতু ঘটনা শোনার পর মাননীয় পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) সার্কেল, ওসি চুয়াডাঙ্গা সদর সহ সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম এই অভিযোগের ঘটনাস্থল পরিদর্শন সহ চোরাই মালামাল উদ্ধারের জন্য গোপন ও প্রকাশ্য তদন্ত শুরু করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ও তার টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১১/০৩/২০২১ খ্রিষ্টাব্দ রোজ বৃহস্পতিবার অনুমান ১৪:৩০ ঘটিকার সময় ১। মোঃ আঃ ওদূদ (১৭), পিতা- মোঃ আঃ রহমান লিটন, সাং- নূরনগর স্টেডিয়াম পাড়া, ২। খন্দকার রিফাত আহম্মেদ মুমিত (১৬), পিতা- খন্দকার মতিয়ার রহমান টোটন, সাং- জাফরপুর মালোপাড়া, উভয় থানা ও জেলা- চুয়াডাঙ্গা দ্বয়কে আটক করেন। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের স্বীকারোক্তি ও তাদের দেখানো মতে বেলা ১৬:৪৫ ঘটিকার সময় তাদের নিজ নিজ বাড়ী হইতে সর্বমোট ৩০টি চোরাই সিলিং ফ্যান উদ্ধার করেন। আটক ব্যাক্তিদ্বয় চুরির বিষয়ে অকপটে স্বীকার করে।
আটককৃত আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী চুয়াডাঙ্গা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রের ছাত্রাবাস হতে ফ্যানগুলি আটককৃত আসামিদ্বয় বিভিন্ন সময়ে চুরি করেছিল। আসামি বিগত সময়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুবাদে দীর্ঘ সময় ধরে এই ফ্যানগুলো চুরি করার জন্য রেকি করে এবং সুযোগ বুঝে বিভিন্ন সময়ে এই ফ্যানগুলো তারা চুরি করে বিক্রয়ের জন্য নিজ জ্ঞানতঃ দখল ও নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে এই চুরির ঘটনার সাথে এই অধিদপ্তর এর কোন স্টাফ বা সদস্য জড়িত আছে কিনা সে বিষয়ে অনুসন্ধান চলছে।