শিরোনাম

South east bank ad

মিজানুর রহমানকে রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবে চায় এলাকাবাসী

 প্রকাশ: ২৭ নভেম্বর ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জনপ্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের আগামী নির্বাচনে দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী রংধনু গ্রুপের পরিচালক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমানকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় কায়েতপাড়া ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ। বিগত সময়ে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকা- ও মহামারি করোনায় কায়েতপাড়া ইউনিয়নবাসীর পাশে তার সরব উপস্থিতির কারণে প্রার্থী হিসেবে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন তরুণ এ শিল্পপতি। নির্বাচনি মাঠে নতুন মুখ হলেও তিনি কায়েতপাড়াবাসীর অতি পরিচিত একজন মানুষ। এলাকার যে কোনো মানুষ সমস্যায় পড়লে ছুটে যান তিনি। ইউনিয়নের সব বয়সি ও শ্রেণিপেশার মানুষের আপনজন মিজানুর রহমান এবারের নির্বাচনে কায়েতপাড়ায় শক্তিশালী প্রার্থী। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও মনে করেন নৌকা প্রতীকের জন্য যোগ্য মাঝি।

এলাকার বিভিন্ন বয়সের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দক্ষ সংগঠক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে তারা এবার মিজানুর রহমানকে ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করতে চায়। কায়েতপাড়া ইউনিয়নের দৃশ্যমান উন্নয়নে তার বড় ভাই বিশিষ্ট শিল্পপতি, রংধনু গ্রুপ ও বর্তমান কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলামের অবদানের কারণে প্রার্থী হিসেবে মিজানুর রহমান অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন। এরই মধ্যে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবসমাজ, ছাত্রসমাজসহ সাধারণ জনগণ এবার মিজানুর রহমানের পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ করতে মাঠে নেমেছেন। মিজানুর রহমান মানুষের বিপদে ঘরে বসে থাকতে পারেন না, ছুটে যান বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে। বিয়েশাদি, কর্মহীন মানুষকে কাজ দেওয়া, যুবসমাজকে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত, মাদকমুক্ত ও ক্রীড়ামোদি করে গড়ে তোলা, এলাকার উন্নয়নে অংশগ্রহণ করা তার নিত্যদিনের কাজ। নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য থাকার সুবাধে কায়েতপাড়ায় রাস্তাঘাট, ব্র্রিজ-কালভার্ট নির্মাণ করেছে অজস্র। এছাড়া মহামারি করোনায় জনগণের পাশে থেকে তাদের সাধ্যানুসারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে মিজানুর রহমান হয়ে উঠেছেন কায়েতপাড়ার মানুষের অত্যন্ত আপনজন।

কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল আউয়াল বলেন, কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তরুণ সমাজসেবক মিজানুর রহমানকে এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করতে আমরা কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছি। তার বড় ভাই বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ রফিকুল ইসলাম বিগত সময় দায়িত্ব পালনকালে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী যে কোনো কাজে এসে বিমুখ হননি। এছাড়া বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে আমাদের কায়েতপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত রেখেছেন তিনি। এবারের নির্বাচনে তিনি প্রার্থী না হওয়ায় তার ছোটভাই মিজানুর রহমানকে নৌকার মাঝি করতে মাঠে নেমেছি আমরা। আমাদের আশা জননেত্রী আমাদের তৃণমূলের দাবিকে অগ্রাহ্য করবেন না।

ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সামসুল আলম বলেন, মিজানুর রহমান বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এরই মধ্যে সবার প্রিয়পাত্র হয়ে উঠেছেন। জাগতিক লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে পরিক্ষিত আলহাজ রফিকুল ইসলামের পরিবার থেকে আমরা মিজানুর রহমানকে প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছি। বৃহৎ পরিসরে সমাজের সার্বিক উন্নয়ন করতে কায়েতপাড়ায় আলহাজ রফিকুল ইসলামের পরিবারের বিকল্প নেই।

কায়েতপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আলহাজ নুরুজ্জামান খান বলেন, মিজানুর রহমান এলাকাবাসীর জন্য যথেষ্ট করছেন। শুধু ব্যক্তিগত সহযোগিতা দিয়ে সমাজ ও সমাজের মানুষের সব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। তাই তাকে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি করলে কায়েতপাড়ার সার্বিক উন্নয়ন হবে।

নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের সৈনিক। দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হতে পারলে আমি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। আমি চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হতে পারলে আমার বড়ভাই আলহাজ রফিকুল ইসলামের মতোই আমার লক্ষ্য থাকবে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদকমুক্ত ইউনিয়ন গড়ে তোলা। সব কর্মকা-ে জনগণের অংশগ্রহণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করাসহ আধুনিক ইউনিয়ন গঠন করতে চাই আমি। সেসঙ্গে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিসম্পন্ন ডিজিটাল ইউনিয়ন গঠন করাই হবে আমার অন্যতম লক্ষ্য। আমার প্রত্যাশা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে আগামী নির্বাচনে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের উন্নয়নে সুযোগ তৈরি করে দেবেন।

BBS cable ad

জনপ্রতিনিধি এর আরও খবর: