শিরোনাম

South east bank ad

দুর্যোগকালে মানুষের পাশে না দাঁড়ালে আর কখন দাঁড়াব : নিক্সন চৌধুরী এমপি

 প্রকাশ: ২৭ জুন ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জনপ্রতিনিধি

ভাঙ্গা উপজেলায় দ্বিতীয় দফায় রেড জোন ঘোষণা করে পৌর এলাকা লকডাউন চলছে। ফরিদপুরের নয় উপজেলার মধ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় ফরিদপুর সদর ও মৃত্যের সংখ্যায় ভাঙ্গা এগিয়ে। এর মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে খোঁজ-খবর নিচ্ছেন ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনের সাংসদ মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন। দ্বিতীয় দফায় লকডাউনের পরে ঠিক প্রথম দফার মতোই ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন সাংসদ নিক্সন চৌধুরী। লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পরা মানুষদের খাবার, চিকিৎসাসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ব্যবস্থা করছেন। ইতোমধ্যে ১৬০টি পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। তিন দিন পরপর এসব পরিবারে খাবার পৌঁছে দেয়া হবে বলে জানান স্থানীয় সাংসদ মুজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরী। জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, ভাঙ্গায় এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছে ১০ জন। আর আক্রান্ত হয়েছে ৩১১ জন। তাই পৌরসভা ও চুমুরদিয়া এলাকাকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ (রেড জোন) ঘোষণা করে গত ১৬ জুন থেকে লকডাউন করা হয়েছে। এদিকে প্র্রথম দফায় চলা লকডাউনে ফরিদপুর-৪ সংসদীয় এলাকার তিন উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চলে নিজ হাতে খাবার পৌঁছে দিয়েছেন। কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষদের আর্থিক সহায়তা-খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। তৈরি করেছেন স্বেচ্ছাসেবক দল। যারা ফোন পেলে খাদ্যসামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে হাজির হয়ে যায় অসহায় মানুষের বাড়িতে। এছাড়াও তিন উপজেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জীবাণুনাশক টানেল তৈরি করেছেন। নিজ অর্থায়নে সেনিটাইজার, মাস্ক, পিপিই ক্রয় করে প্রশাসন, পুলিশ, চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, গণমাধ্যমকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের মাঝে বিতরণ করেছেন। তার নির্বাচনী এলাকা ভাঙ্গা উপজেলা সদরে দ্বিতীয় দফায় রেড জোন ঘোষণা করেছে সরকার। সেখানে চলছে সাধারণ ছুটিসহ লকডাউন। লকডাউনের আওতাভুক্ত এলাকায় তিন দিন পরপর অসহায়, দরিদ্র ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে ১০ কেজি চাল, ডাল, আলু, সবজি পৌঁছে দিচ্ছেন নিক্সন চৌধুরীর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা। এসবই করা হয়েছে সাংসদ নিক্সন চৌধুরীর নিজস্ব তহবিল থেকে। মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেন, ‘দেখুন রাজনীতিটা শিখেছি পরিবার থেকে, ছোট বেলা থেকেই দেখেছি, বাবা-বড় ভাইদের মানুষের সেবা করতে। রাজনীতি করতে আসছি তো মানুষের জন্য, এই দুর্যোগকালে মানুষের পাশে না দাঁড়ালে আর কখন দাঁড়াব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি, যাতে এই দুর্যোগে একটি মানুষও খাদ্য কষ্টে বা অসহায় অবস্থায় দিন পার না করে। আমাদের এই চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রথম দফা লকডাউন চলাকালে আমি নির্বাচনী এলাকায় থেকে প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে কাজ করেছি। দ্বিতীয় দফায় লকডাউন ঘোষণার পরেই আমি আবার বাড়িতে ফিরে এসেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার ভাঙ্গা পৌর এলাকায় দ্বিতীয় দফায় লকডাউন চলছে। লকডাউন দেয়ার আগে প্রতিদিন গড়ে ২৫ জন রোগী শনাক্ত হতো, এখন অনেকটা কমে আসছে আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউন আরো কিছুদিন রাখলে এই এলাকার করোনা পরিস্থিতি আরো উন্নতি ঘটবে। লকডাউন চলাকালে দরিদ্র, অসহায় ও কর্মহীন পরিবারকে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না। আমি নিজে সেসব পরিবার খুঁজে খুঁজে বের করছি, আমার নেতাকর্মীরা খোঁজ নিচ্ছে, আর স্বেচ্ছাসেবক দল তো আছেই। লকডাউন যতদিনই চলুক, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ- একটি পরিবারও যেন ক্ষুধার্ত না থাকে, সেই লক্ষে কাজ করছি- আমি ও আমার কর্মীরা। এই কাজটি যাতে সঠিকভাবে সম্পন্ন হয়, সে জন্য এলাকায় ফিরে এসেছি।’
BBS cable ad

জনপ্রতিনিধি এর আরও খবর: