শিরোনাম

South east bank ad

মেম্বার থেকে পৌঁছেছেন জাতীয় সংসদে

 প্রকাশ: ২৮ অগাস্ট ২০১৭, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   জনপ্রতিনিধি

মেম্বার থেকে পৌঁছেছেন জাতীয় সংসদে
নওগাঁ ৩ (বদলগাছি ও মহাদেবপুর) এর বর্তমান সংসদ সদস্য সেলিম উদ্দিন তরফদার সলিম। মহাদেবপুর উপজেলার চেরাগপুর ইউনিয়নের সাধারণ মেম্বার থেকে পৌঁছেছেন জাতীয় সংসদে। আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের আশীর্বাদ আর জনসেবার দ্বিধাহীন মনোবল এই দুই উপজেলায় নৌকার মাঝি করে তুলেছে তাকে। চেরাগপুরের মেম্বার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন একবার। এরপর পরপর তিনবার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচনে জয় পান সলিম। তবে মনের ভেতর সুপ্ত বাসনা ছিলো সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনের। আব্দুল জলিলের আস্থাভাজন হিসেবেই তাকে চিনতেন লোকে। ২০১৩ সালে আব্দুল জলিলের মৃত্যুর পরও তার ছায়া নিয়ে রাজনীতিতে বিচরণ করতে থাকেন সলিম। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ‌১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার টিকিট চান। কিন্তু আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ড. আকরাম হোসেনকেই মনোনয়ন দেয়। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হন সেলিমউদ্দিন তরফদার ছলিম। তৎকালীন প্রধান বিরোধীদল বিএনপি ভোটে না এলেও, কলস মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন ছলিম। দল থেকে বহিষ্কার করা হলেও নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নেন তিনি। নওগাঁর একমাত্র আসন বদলগাছি ও মহাদেবপুরে মানুষ যান ভোট দিতে। একদিকে আব্দুল জলিলের আস্থাভাজন এক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, অন্যদিকে হেভিওয়েট প্রার্থী ড. আকরাম হোসেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী হারুণ বলেন, আকরামের বিপক্ষে একটা জনমত গড়ে উঠেছিল। বিশেষ করে তার নাম ভাঙ্গিয়ে স্ত্রী মায়া চৌধুরীর ঘুষ এবং নিয়োগ বাণিজ্য এবং প্রভাব মানুষের চক্ষুশূল হয়ে ওঠে। তিনি বিন্দু মাসী হিসেবে এলাকায় পরিচিত হয়ে ওঠেন। তিনি সাধারণ মানুষের মতামত ছাড়াই এলাকা চালিয়েছেন। ধীরে ধীরে নেতানেত্রী শূন্য হয়ে পড়েন আকরাম। আকরামের এই স্বৈরাচারী আচরণের বিরুদ্ধেই ভোট দেন মানুষ। নৌকার বিরুদ্ধে ব্যালটের সুযোগ পেয়ে ধানের শীষের লোকেরাও গিয়ে সীল মেরে আসেন কলস মার্কায়। এক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে প্রায় ৬৪ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজয় ঘটে আকরাম হোসেনের।
BBS cable ad

জনপ্রতিনিধি এর আরও খবর: