৫ মে তাণ্ডবের পরই হেফাজত প্রশ্নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ ছিলোঃ তোফায়েল আহমেদ

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, নীতির প্রশ্নে শক্তভাবে দাঁড়ালে কোনো অশুভ শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে না। ২০১৩ সালের ৫ মে তাণ্ডবের পরই হেফাজত প্রশ্নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ ছিলো।
ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) ১৪ দলের এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের প্রতিবাদ জানাতে নেমে সম্প্রতি হেফাজতে ইসলাম কয়েকটি স্থানে তাণ্ডব চালায়, যা অনেককে ২০১৩ সালের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গণজাগরণ শুরুর পর তার বিরোধিতায় নামা হেফাজত ২০১৩ সালের ১৩ মে মতিঝিলে শাপলা চত্বরে সমাবেশ ডেকে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছিল।
সেদিন তাদের তুলে দেওয়া হলেও পরবর্তীতে নানা ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ হেফাজতের সঙ্গে আপস করে চলেছে বলে তার জোট শরিক দলগুলোর মধ্য থেকেও অভিযোগ ওঠে।
মঙ্গলবারের আলোচনা সভায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, দুধ দিয়ে সাপ পুষলে তার ফল কখনও শুভ হয় না। বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজত একই সূত্রে গাঁথা। সাম্প্রদায়িক অপশক্তি দমনে কোনো আপস নয়।
১৪ দলের মুখপাত্র ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু মুজিবনগর সরকারের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, অসহযোগ আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগের যে হাই কমান্ডকে জাতির সামনে উপস্থাপন করেছেন, তাদের নিয়ে গঠন করা হয় মুজিবনগর সরকার। আর এই সরকারের অধীনেই কাজ করেছেন সকল সেক্টর ও সাবসেক্টর কমান্ডারসহ বিভিন্ন ফোর্স। আজ যে যত কথাই বলুক না কেন এরা সবাই ছিলেন মুজিবনগর সরকারের বেতনভুক্ত।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজ ভান্ডারী, জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, গণ আজাদী লীগের সভাপতি এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন আলোচনায় অংশ নেন।