শিরোনাম

South east bank ad

যারা আগে করোনার ভ্যাকসিন আনবে তাদের থেকেই ভ্যাকসিন নেবো: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

 প্রকাশ: ৩১ অগাস্ট ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   মন্ত্রনালয়

প্রাণঘাতী ভাইরাস করোনার টিকা নিয়ে গবেষণা করছে অনেক দেশ। এরই মধ্যে বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন পেতে অগ্রাধিকারের ঘোষণাও দিয়ে রেখেছে ভারত ও চীন। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের ভাষ্য, যে দেশ যত তাড়াতাড়ি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আনবে, বাংলাদেশ সেটি দেশে আনার চেষ্টা করবে। আর এ নিয়ে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা শেষে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে সাংবাদিকরা সরকারের পদক্ষেপ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “দেশের জনগণের জন্য যেটা মঙ্গলজনক আমরা সেটাই করবো। যে দেশ যত তাড়াতাড়ি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আনবে, আমরা সেটি দেশে আনার চেষ্টা করবো। এর জন্য আলোচনা চলছে।” সম্প্রতি হঠাৎ ঢাকা সফরে এসে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা জানান, অক্সফোর্ডের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল সফল হলে এটি পেতে বাংলাদেশ অগ্রাধিকার পাবে। গত জুন মাসে বাংলাদেশকে করোনা প্রতিরোধে সাহায্য করতে ঢাকায় আসেন চীনের একদল চিকিৎসক। তারা করোনা নিয়ে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের সঙ্গে তাদের দেশের অভিজ্ঞতা থেকে করোনা মোকাবেলা করার পদ্ধতি নিয়ে কাজ করেন। চাইনিজ চিকিৎসক দলের ঢাকা ছাড়ার দিন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার হলে সবার আগে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে পাঠাবে বলে চীন সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এর আগে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় অবস্থানরত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরী এবং নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরানোর সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। মুজিবর্ষেই বঙ্গবন্ধুর এই দুই খুনিকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরে সরকার আশাবাদী বলে জানান তিনি। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিদেশে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত পাঁচজন খুনি আছেন। যাদের মধ্যে দুইজনের তথ্য আমাদের কাছে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি কানাডায় পলাতক আরও একজনের (নূর চৌধুরী) তথ্যও আমাদের কাছে আছে। তাকেও ফিরিয়ে আনার জন্য আলোচনা করছি। আশা করছি, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষে তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হবে।” বঙ্গবন্ধু হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ খুনি বিদেশে পালিয়ে আছেন। তারা হলেন খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, এস এইচ এম বি নূর চৌধুরী ও এ এম রাশেদ চৌধুরী। এর মধ্যে রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে ও নূর চৌধুরী কানাডায় আছেন। বাকি তিনজন কোথায় আছেন, সে সম্পর্কে সরকারের কাছে নিশ্চিত তথ্য নেই।
BBS cable ad

মন্ত্রনালয় এর আরও খবর: