মোশতাক-জিয়ার মরণোত্তর বিচার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা
বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রধান ষড়যন্ত্রকারী খুনি মোশতাক ও জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করে ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
তিনি বলেন, এই হক্যাকাণ্ডের প্রধান ষড়যন্ত্রকারী খুনি মোশতাক ও তার এক নম্বর সহযোগী হয়ে ১৫ আগস্টে হত্যাকাণ্ডের সকল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছেন জিয়াউর রহমান।
কমিশন গঠন করে দেশি-বিদেশি চক্রের সাহায্যে সংগঠিত ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সব নেপথ্য কুশীলবদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সচিবালয়ে ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আওয়ামী শিল্পগোষ্ঠী আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দেশ উল্টো পথে চলতে শুরু করে। মুক্তিযুদ্ধের গগণবিদারী ‘জয়বাংলা’ স্লোগানকে বাংলাদেশ জিন্দাবাদে পরিণত করা হয়। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সাজাপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামিদের মাফ করে দেন। যুদ্ধাপরাধী ও কুখ্যাত রাজাকার শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। ইনডেমনিটি আইন করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনিদের পুরস্কৃত করে বিভিন্ন দূতাবাসে নিয়োগ দেওয়া হয়।
খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর খুনিদের উত্তরাধিকারী উল্লেখ করে ইন্দিরা বলেন, ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী খালেদাও ক্ষমতায় এসে রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। এ থেকে বোঝা যায় ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড, জেল হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্টের খুনিরা একই। এ দেশে আপামর জনসাধারণের মূল্যায়নে ইতিহাস বিকৃতিকারী খুনিরা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
আওয়ামী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি সালাউদ্দিন বাদলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফী, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান চৌধুরী লাভলু, কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলো ও স্বাধীন বাংলা বেতারের শিল্পী শিবু রায়।