South east bank ad

করোনাকাণ্ডে সাবরিনা-আরিফসহ আটজনের ১১ বছর করে দণ্ড

 প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   আইন আদালত

করোনাকাণ্ডে সাবরিনা-আরিফসহ আটজনের ১১ বছর করে দণ্ড

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

করোনাভাইরাস শনাক্তের রিপোর্ট জালিয়াতির ঘটনায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারপারসন ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ আটজনের ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় ৩ বছর কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাভোগ করতে হবে। দণ্ডবিধির ৪৬৬ ধারায় ৪ বছরের কারাদণ্ড, ৪ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৪ মাস কারাভোগ করতে হবে। এছাড়াও দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় ৪ বছরের কারাদণ্ড, ৪ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৪ মাস কারাভোগ করতে হবে। সবগুলো সাজা একের পর এক কার্যকর হবে বলে রায়ে বলা হয়।

আলোচিত এই মামলায় রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় আসামিদের। এরপর তাদের আদালতের হাজত খানায় রাখা হয়।

এর আগে, গত ২৯ জুন ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালত উভয়পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১৯ জুলাই দিন ধার্য করেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন— আবু সাঈদ চৌধুরী, হিমু, তানজিলা, বিপুল, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

মামলাটিতে মোট ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

এর আগে, গত বছরের ২০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরাফুজ্জামান আনছারীর আদালত এ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। গত বছরের আগস্টে ঢাকার চিফ ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ডা. সাবরিনা ও আরিফসহ আট জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। চার্জশিটে ডা. সাবরিনা ও আরিফকে ঘটনার মূলহোতা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে হিমু, তানজিলা ও রোমিও দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

BBS cable ad

আইন আদালত এর আরও খবর: