শিরোনাম

South east bank ad

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ইন্টারনেট গেমসের আসক্তিতে ঝুঁকছে শিক্ষার্থীরা

 প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   শিক্ষাঙ্গন

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ইন্টারনেট গেমসের আসক্তিতে ঝুঁকছে শিক্ষার্থীরা

মো: ফেরদৌস রহমান (নারায়ণগঞ্জ):

গত ১৭ মার্চ (২০২০) থেকে দেশের করোনা বিবেচনায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় ও করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আর খোলা হয়নি। ফলে,বই-পুস্তক রেখে একপ্রকারে স্মার্ট ফোনের ইন্টারনেট গেমসের আসক্তিতে জড়িয়ে পড়ছে দেশের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার আগেও যুবসমাজের মাঝে ইন্টারনেট গেমসের প্রভাব দেখা গেলেও, বর্তমানে এর আকার সবর্ত্র ছড়িয়ে পড়েছে। ২০২০ এর মাঝামাঝি ও ২০২১ এর প্রারম্ভে এসে এই শিক্ষার্থীদের একমাত্র আসক্তি কেবল স্মার্ট ফোন। কিন্তু, কোনপ্রকার লেখাপড়ার কাজে তা ব্যবহার না করে,ব্যবহৃত হচ্ছে ইন্টারনেট গেমস খেলায়।

গত কিছুদিন যাবৎ দেখা যায়, সকলের হাতে হাতে মোবাইল ফোন। এই মোবাইল ফোন নিয়ে,রাস্তার পাশে, দোকানে অথবা নির্জন কোন বাঁশঝাড়ে দলবদ্ধ হয়ে বসে ইন্টারনেট গেমস খেলতে দেখা যায় তাদের। এই ইন্টারনেট গেমসের মধ্যে পাবজি ও ফ্রি-ফায়ার খ্যাত কিছু গেমসে আসক্তির হার সবচেয়ে বেশি।

করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি, ঘরবন্দী জীবনের দেয়ালে আবদ্ধ এসব শিক্ষার্থী বা যুবসমাজের প্রধান কাজ এখন মোবাইলে ইন্টারনেট গেমস খেলা।

এ ব্যাপারে, কিছু ছেলেমেয়ের পিতা-মাতার সাথে কথা বলে তাদের সার্বিক পরিস্থিতি জানা যায় যে, "সারা দিন-রাত শুধু মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় ১০-১৭ বয়সী ছেলে-মেয়েদের। পড়ার বা অন্যকিছুর কথা বললে বিরক্তি সূচক ভঙ্গিমায় তা প্রকাশ করে তারা। ভালো করে পড়তে বসে না, নেই ঠিকমতো খাওয়া দাওয়া, নেই নিয়মিত ঘুম। এ যেন এক গেমসের প্রতি সর্বস্ব বিসর্জন। "

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পিতামাতার অবাদ্ধ ছেলেমেয়েরা ঝুঁকছে এই ইন্টারনেট গেমসের আসক্তিতে। অবাদ্ধতার ছাপ যেন প্রতিনিয়ত বেড়ে চলছে। পাঠ্য-পুস্তক থেকে এভাবে দূরে থাকলে একসময় দেশের শিক্ষার হার শূন্যে দাঁড়াবে বলে মনে করেন বিজ্ঞ সমাজ।

সমাজের কিছু সচেতন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় যে,"দেশের প্রতিটি জায়গায়,শহুরে থেকে শুরু করে গ্রামীণ জীবনেও এই ইন্টারনেট গেমসের প্রভাব দেখা যায়। ফলে,যুবসমাজ এক বৃহৎ ক্ষতির দিকে দাবিত হচ্ছে। দেশের প্রায় ৯৫ % যুবকের হাতে দেখা মেলে স্মার্ট ফোন। এরমধ্যে ১০-১৯ বছর বয়সীদের সংখ্যা বেশি বলে মনে করেন তারা।"

এর থেকে বের হওয়ার উপায় জানতে চাওয়া হলে,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞ কিছু শিক্ষক জানায়,"পিতামাতার সন্তানের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধিসহ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো জরুরি ভিত্তিতে খুলে দেওয়া হলে,শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার প্রতি তখন ঝুঁকে পড়বে।ফলে, তখন ধীরে ধীরে এই ইন্টারনেট গেমসের প্রতি আসক্তি কমে যাবে।"

তাই, যুবসমাজকে এই ইন্টারনেট জগতের ভয়ংকর দাবালনের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে পিতামাতার পাশাপাশি দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া অতীব জরুরি।

BBS cable ad

শিক্ষাঙ্গন এর আরও খবর: