বড় ভ্যাট ফাঁকিবাজ ধরতে এলটিইউতে গোয়েন্দা ইউনিট গঠন
বড় প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট ফাঁকি ধরতে গোয়েন্দা ইউনিট গঠন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অধীনস্ত বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ ভ্যাট)।
এনবিআর’র কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল-সিআইসি’র আদলে কাজ করবে এই গোয়েন্দা ইউনিট। ইতোমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের তালিকাও তৈরি করেছে নতুন এই গোয়েন্দা ইউনিট।
২৩ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের অনুমোদন দেন এলটিইউর কমিশনার শাহনাজ পারভীন। এর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত কমিশনার লুৎফর রহমান ও সহকারী কমিশনার বদরুজ্জামান মুন্সীকে।
এলটিইউর অধিক্ষেত্রভুক্ত প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহে কাজ করবে গোয়েন্দা ইউনিট। ভ্যাট আইনের ২৬ ধারা অনুযায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। অভিযানে প্রতিষ্ঠানের আমদানি ও ব্যবসায়ী লেনদেনের তথ্য যাচাইয়ের মাধ্যমে কর ফাঁকি উদ্ঘাটন করা হবে।
পাশাপাশি কাস্টমস আইন ও ভ্যাট বিধিমালা অনুযায়ী যেকোনো আমদানি পণ্য চালান বা পণ্য বহনকারী যানবাহন বা ব্যক্তিকে আটক, তল্লাশি ও জব্দ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে গোয়েন্দা ইউনিটকে।
এ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ করদাতাদের চিহ্নিত করে রিস্ক প্রোফাইল প্রস্তুত করবে গোয়েন্দা ইউনিট। এই প্রোফাইলের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সময়ে প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট সংক্রান্ত সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে।