রেশম শিল্পের আধুনিকায়নে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

বাংলাদেশের রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন করে বিশ্বমানে রূপান্তরের জন্য সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক। তিনি বলেন, এ শিল্পের ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে এর আধুনিকায়ন করা হবে। রেশমের সুতা উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার তাঁত শিল্পকে অধিকতর মানসম্পন্ন করে তুলবে। এজন্য বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
রবিবার দুপুরে জেডিপিসি মিলনায়তনে রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী রেশম পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মু. আবদুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম এনডিসিসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, রেশম উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বেসরকারি উদ্যোক্তারা।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, রেশম ও তাঁত শিল্প বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এ শিল্পকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। রেশম শিল্প ও রেশমচাষীদের ভাগ্যোন্নয়নে পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন ও রেশমচাষীদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোই বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য।
কম খরচে উন্নতমানের রেশম কাপড় তৈরি করার জন্য প্রযুক্তির উত্কর্ষ অপরিহার্য উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, প্রয়োজনে বিদেশ থেকে উন্নত প্রযুক্তি আনতে হবে। এ শিল্পসংশ্লিষ্টদের বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।
পাটমন্ত্রী বলেন, বিদেশ থেকে আমদানীকৃত সুতার ওপর প্রায় ৬০ শতাংশ কর আরোপের পরও প্রতিযোগী দেশের সঙ্গে পেরে উঠছি না। সুতরাং আমাদের প্রযুক্তিগত কোথাও না কোথাও ঘাটতি রয়েছে। আমাদের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে সমস্যা অনুযায়ী সমাধানের চেষ্টা করতে হবে, যাতে আমরা বিদেশের চেয়ে ভালো মানের সুতা উৎপাদন করতে পারি।