বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের শাহাদাত বার্ষিকী আজ

আজ ১০ ডিসেম্বর বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী। ১৯৭১’র ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী যখন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের পরাজিত করে একের পর এক শহর দখলশেষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করছে, সেই সময়টাতে খুলনার রূপসা নদীতে মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধ জাহাজ কে বি এন এম পলাশের চিফ ইঞ্জিন রুম অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন রুহুল আমিন।
১০ ডিসেম্বর এ যুদ্ধ জাহাজে পাক হানাদার বাহিনী বিমান হামলা চালালে গুরুতর আহত হন তিনি। আহত অবস্থায় রুহুল আমিন জাহাজ থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাঁতার কেটে তীরে ওঠেন। এ সময় নদীর পাড়ে ওঁত্ পেতে থাকা পাকিস্তানি হানাদারদের দোসর রাজাকার আলবদররা বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে রুহুল আমিনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৪ ডিসেম্বর খুলনা শত্রুমুক্ত হবার আগ পর্যন্ত তাঁর লাশ ঐ স্থানেই পড়ে থাকে।
পরে স্থানীয় মুক্তিকামী মানুষ শহীদ রুহুল আমিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরে রূপসা নদীর তীরে ফেরি ঘাটের পার্শ্ববর্তী লকপুর নামক স্থানে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ সরকার এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় খেতাব বীরশ্রেষ্ঠ (মরণোত্তর) উপাধিতে ভূষিত করে। দেশের সাত জন বীরশ্রেষ্ঠের মধ্যে শহীদ রুহুল আমিন একজন।
বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আজ তাঁর নিজ গ্রাম নান্দিয়া পাড়ার শহীদ রুহুল আমিন নগরে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর অডিটরিয়ামে মিলাদ মাহফিল, দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।