সাবেক সাংসদ কাশেম মাস্টার আর নেই

চট্টগ্রামের বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এবিএম আবুল কাশেম মাস্টার আর নেই (ইন্নালিল্লাহি … রাজিউন)। আওয়ামী লীগ নেতা ও চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের (চট্টগ্রাম-৪) এই সাবেক সাংসদ গতকাল দুপুর ২টা ৩৫ মিনিটে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিত্সাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আবুল কাশেম মাস্টারের দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গিয়েছিল। নিয়মিত ডায়ালাইসিসের জন্য দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় ছিলেন তিনি। সিঙ্গাপুরে গিয়েও একাধিকবার তার কিডনির চিকিত্সা করা হয়েছে। সর্বশেষ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সোমবার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিত্সাধীন অবস্থায় গতকাল তার মৃত্যু হয়। তিনি স্ত্রী, পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তার বড় ছেলে এসএম আল মামুন সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান। আজ সকাল ১০টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বাদ জোহর সীতাকুণ্ড সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা এবং বাদ আসর নিজ বাড়িতে তৃতীয় জানাজা শেষে তাকে সমাহিত করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। তার মৃত্যুতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ সালাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া, সীতাকুণ্ডের পৌর মেয়র নায়েক (অব.) সফিউল আলম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাচ্চু, সীতাকুণ্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সুরাইয়া বাকের, ঢাকাস্থ চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলাল, সীতাকুণ্ড ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি রেহান উদ্দিন রেহান, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক লায়ন আসলাম চৌধুরী এফসিএ, উত্তর জেলা কৃষক দলের সভাপতি ইসহাক কাদের চৌধুরী, সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তফাজ্জল হোসেন, সীতাকুণ্ড জাতীয় পার্টির সভাপতি রেজাউল করিম বাহার, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আলম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ন্যাপের সভাপতি সন্তোষ চৌধুরী, সীতাকুণ্ডু সমিতি চট্টগ্রামের সভাপতি এনামুল আজিজ চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক গিয়াসউদ্দিন, সীতাকুণ্ডু প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এম হেদায়েত, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ ফোরকান আবু, সীতাকুণ্ড অনলাইন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম, সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম বিএসসি প্রমুখ গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এবিএম আবুল কাশেম মাস্টার ১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে দু’বার সীতাকুণ্ডু থেকে এমপি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবং প্যানেল স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তার বদলে আওয়ামী লীগে নবাগত দিদারুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। ত্যাগী নেতা হিসেবে পরিচিত আবুল কাশেম মাস্টার সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।