মাদার বেবি অ্যান্ড কিডস শো বৃহস্পতিবার

আগামী বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা কনভেনশন সিটিতে শুরু হবে ‘মাদার বেবি অ্যান্ড কিডস শো-২০১৭’। তিন দিনব্যাপী এই মেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মা ও শিশুর খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিচর্যা, আসবাবপত্র, বিনোদনসহ পণ্য ও সেবা প্রদর্শন করবে।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর প্রেসক্লাবে আয়োজকদের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
মেলায় ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান আই-স্টেশন রয়েছে ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে। মেলাটির মূল পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে কিডস প্যারাডাইস। মেলাতে ৪০টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে বলে জানা গেছে।
মেলা প্রসঙ্গে কিডস প্যারাডাইসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেজর (অব.) সৈয়দ গোলাম অয়াদুদ বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শিশু পণ্য ও সেবা নিয়ে মেলা হলেও বাংলাদেশে তা দেখা যায় না। শিশুদের নিয়ে এই উদ্যোগে সাড়া দিয়ে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি।
তিনি বলেন, এমন মেলা হলে দেশিও ব্র্যান্ডের পাশাপাশি বিদেশি ব্র্যান্ডগুলো আগ্রহী হবে। যারা সন্তানের জন্য খরচ করবেন তারা যেন সঠিক মূল্যায়নটা পান। সন্তানকে যেন তারা মান সম্মত পণ্য ও সেবা উপহার দিতে পারেন। সেসব দিক দিয়ে এই মেলা একটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি।
এবারের মেলায় থাকবে শিশু বিশেষজ্ঞ, মনোরোগবিদ, পুষ্টিবিদদের উপস্থিতে মা ও শিশু বিষয়ক বিভিন্ন সেমিনার, স্পেশাল চাইন্ড জোন। শিশুরা যাতে নিজেরকে মেলে ধরতে পারে তার জন্য অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, ম্যাজিক শো, পাপেট শো, পুতুল নাচসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি জাদু প্রদর্শনী, বানর খেলা, বায়োস্কোপ , হাতের লেখা প্রতিযোগিতা, কমিক আর্ট ওয়ার্কশপের আয়োজন থাকছে মেলাতে।
মেলায় আগত মা ও শিশুর বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করবে মেলার হেল্থ কেয়ার পার্টনার ইউনিভার্সেল হাসপাতাল।
শিশুদের ইন্টারনেট ব্যবহার নিরাপদ রাখতে থাকছে সেমিনার ‘ইন্টারনেট সেফটি ক্যাম্প ফর কিডস’।
আয়োজকরা মনে করেন, প্রতিদিনের নাগরিক ব্যস্ততার এই জীবন আর চাপিয়ে দেওয়া বইয়ের ভারে নুয়ে থাকা শিশুদের জন্য প্রয়োজন নির্মল বিনোদন। আর বাবা মায়ের প্রয়োজন শিশুর পরিচর্যা ও বিকাশের সঠিক ধারণা যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম গড়তে সহায়তা করবে।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আই স্টেশনের প্রকল্প পরিচালক রাজেশ কর্মকার, স্কয়ার টয়লেট্রিজের ট্রেড মার্কেটিং ব্যবস্থাপক ফজল মাহমুদ রনি, বসুন্ধরা গ্রুপের মার্কেটিং ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. তৌফিক হাসান প্রমুখ।