শিরোনাম

South east bank ad

স্টার্টআপে অর্থায়নের নতুন নীতিমালায় ঋণের সীমা বেড়ে ৮ কোটি টাকা

 প্রকাশ: ১০ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টার্টআপে অর্থায়নের নতুন নীতিমালায় ঋণের সীমা বেড়ে ৮ কোটি টাকা

বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতিতে স্টার্টআপ খাতকে প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও উদ্ভাবনের অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাই এ খাতের অর্থায়ন কাঠামোয় বড় পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্টার্টআপ ফান্ড-সংক্রান্ত নতুন মাস্টার সার্কুলারে ঋণসীমা বৃদ্ধির পাশাপাশি ইকুইটি বিনিয়োগ ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি গঠনের প্রস্তাবও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা গতকাল দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বরাবর পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো সাধারণত দুই ধরনের তহবিল থেকে স্টার্টআপে ঋণ বিতরণ করে থাকে। একটি হলো ব্যাংকের নিজস্ব স্টার্টআপ ফান্ড। মূলত বার্ষিক নিট মুনাফার ১ শতাংশ দিয়ে এ তহবিল গঠন করা হয়। আরেকটি হলো বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল। উভয় তহবিল থেকেই ঋণ বিতরণের বয়স ও ঋণসীমাসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা ছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন সার্কুলারে এ-সংক্রান্ত নিয়মনীতিতে শিথিলতা আনা হয়েছে।

স্টার্টআপ খাতে আগে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করা যেত। এক্ষেত্রে উদ্যোক্তার বয়সের সীমা ছিল ৪৫ বছর। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ২১ বছর বয়সোর্ধ্ব যে কেউ এ ঋণ নিতে পারবেন। আর প্রতিষ্ঠানের কার্যকাল অনুযায়ী ঋণ নিতে পারবে ২-৮ কোটি টাকা পর্যন্ত।

আগে স্টার্টআপ তহবিল থেকে শুধু ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা দেয়া যেত। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী, তফসিলি ব্যাংকগুলো তাদের নিজস্ব স্টার্টআপ ফান্ড থেকে ইকুইটি বিনিয়োগ করতে পারবে। এ বিনিয়োগ সহজতর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেই একটি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি গঠনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ কোম্পানির প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসএমই ও স্পেশাল প্রোগ্রামস বিভাগ। এ প্রতিষ্ঠানে তফসিলি ব্যাংকগুলো তাদের স্টার্টআপ ফান্ডের অর্থ ইকুইটি হিসেবে বিনিয়োগ করবে। এটি ব্যাংকের আর্থিক বিবরণীতে অন্যান্য দায়ের পরিবর্তে স্টার্টআপ ইকুইটি বিনিয়োগ ফান্ড হিসেবে গণ্য হবে।

স্টার্টআপ ফান্ডে গ্রাহক পর্যায়ে মেয়াদি ও চলতি মূলধন ঋণের সর্বোচ্চ সুদ ৪ শতাংশ হারে নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সুদহার ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে চক্রবৃদ্ধি হারে গণনা করা হবে। এ সুবিধা বিদ্যমান ও নতুন—উভয় ধরনের স্টার্টআপের জন্য প্রযোজ্য হবে। তবে বিদ্যমান স্টার্টআপের নিবন্ধনের সময় থেকে সর্বোচ্চ ১২ বছর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলো এ সুবিধার আওতায় আসবে।

এ সার্কুলার জারি হওয়ার পর ব্যাংকগুলো নিজেদের স্টার্টআপ ফান্ড থেকে নতুন কোনো ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। তবে আগে অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর অর্থ ছাড় করতে পারবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

BBS cable ad

বাংলাদেশ ব্যাংক এর আরও খবর: