শিরোনাম

South east bank ad

স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোই এখন সিনেমা হলের বিকল্প হয়ে উঠছে

 প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২০, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

মির্জা ইয়াহিয়া: 
করোনাভাইরাসের কারণে সব সেক্টর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সাধারণ ছুটি আর না থাকায় এখন সব সেক্টর ঘুরে দাঁড়াতে চেষ্টা করবে। তবে একটা সেক্টর নিয়ে আমি আর আশান্বিত হতে পারছি না। সেটা হচ্ছে সিনেমা হল। মানুষ জীবিকার প্রয়োজনে বাইরে বের হবে। প্রয়োজনে খেতে বের হবে। পোশাক-আশাকও কিনবে। কিন্তু হলে কী আর সিনেমা দেখতে যাবে? আশির দশকের শেষ দিকে পত্রিকায় কাজ করার কারণে দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গেও আমার এক ধরনের যোগাযোগ ছিলো। তখনো রমরমা অবস্থা ছিলো এফডিসির। হলমালিকরাও অনেক ব্যবসা করতেন সিনেমা প্রদর্শন করে। কারণ মানুষের প্রধান বিনোদন ছিলো হলে গিয়ে সিনেমা দেখা। তখনো সব ঘরে টিভি সেট ছিলো না। থাকলেও শুধু বিটিভি চলতো। যেখানে মাসে একটা সিনেমা দেখাতো। তাই সিনেমা দেখতে হলেই যেতে হতো। আশির দশকের শেষদিকে ভিসিপি-ভিসিআর আসার পর সিনেমা দেখার বিকল্প মাধ্যম হলো। কিন্তু তারপরও হলে ছবি দেখার বিষয়টা তখনো মার খায়নি। মূলত ডিশ এন্টেনা আশার পর থেকে হলে ছবি দেখার বিষয়টি কমতে থাকে। তারপর আমাদের সিনেমাও খারাপ হয়ে যায়। তারকার সংখ্যা কমে যায়। এভাবে মানুষ হলবিমুখ হয়ে যায়। ডিশ এন্টেনার কারণে দর্শকদের রুচিও বদলাতে থাকে। হলের আধুনিকায়ন না হওয়ার কারণেও অনেকে হলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। এরমধ্যে আবার ইন্টারনেটের প্রসারের কারণে বিনোদনের ভিন্ন এক জগত তৈরি হয়। ফলে সিনেমা হলের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। netflix তবুও সিনেপ্লেক্সের সংখ্যা আস্তে আস্তে বাড়ছিলো। যার মাধ্যমে শহরের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্তরা হলে ফিরছিলো। এবার করোনাভাইরাসের থাবায় তা অনেক ধাক্কা খেলো। অথচ সাধারণ ছুটিতে ঘরে বসে অসংখ্য মানুষ সিনেমা দেখে সময় কাটিয়েছে। কেউ সিনেমা দেখেছে টিভিতে। যারা নতুন সিনেমা দেখতে চেয়েছে, তারা চোখ রেখেছে অনলাইন প্লাটফর্মে। এই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোই এখন সিনেমা হলের বিকল্প হয়ে উঠছে। এটা গত কয়েক বছর ধরে চললেও লকডাউনের পৃথিবীতে তাদের প্রসার অনেক বেশি গতিশীল হয়েছে। অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটগুলো শত-হাজার নাটক-সিনেমার আর্কাইভস। আবার নতুন নতুন সিনেমা ও সিরিয়ালও তারা রিলিজ করছে। তাই বিনোদনের নতুন এই মাধ্যম শুধু সিনেমা হল নয়, টিভি চ্যানেলের জন্যও হুমকি হয়ে যাচ্ছে। কোনো কোনো চ্যানেল এর জন্যই স্ট্রিমিং সাইট চালু করছে। আমাদের দেশের সিনেমা প্রদর্শক ও হলমালিকরাও এসব নিয়ে ভাবতে পারেন। যুক্ত হতে পারেন অনলাইন স্ট্রিমিং সাইটের ব্যবসায়। পেশাদারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হলে সাফল্য আসবে- এ বিষয়ে আমি নিশ্চিত।
 
(মির্জা ইয়াহিয়া,সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং  জনসংযোগ ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান। সিটি ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ, এর  ফেসবুক পেইজ থেকে নেয়া।)
BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: