শিরোনাম

South east bank ad

ঘর ও জমি পাচ্ছেন আরও ১৬৯ গৃহহীন পরিবার

 প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

সাঈদ আহাম্মেদ সাবাব, (শেরপুর):

শেরপুর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে আরো ১৬৯ ভূমিহীন পরিবার জমি ও ঘর পাচ্ছেন। এসব ঘরের নির্মান কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা হচ্ছে। ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস আজ (৮ ফেব্রুয়ারী) প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ের নির্মিত গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘরের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেছেন ।

বিভাগীয় কমিশনার সদর উপজেলার চরমুচারিয়া, চরপক্ষীমারীর কলুরচর ও পাকুড়িয়া এলাকায় নির্মাণাধীন ঘরগুলো পরিদর্শন করেন।

ঘরের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপ-সচিব) সাইয়েদ এজেড মোরশেদ আলী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তোফায়েল আহমেদ, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ পারভীন, সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) তনিমা আফ্রাদসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

বিভাগীয় কমিশনার শেরপুরের ঘরের নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি ও মান দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সেইসাথে তিনি উপকারভোগীদের সাথেও কথা বলেন এবং তাদের সুবিধা-অসুবিধার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন। এসময় তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশে কাউকেই গৃহহীন রাখবেননা। আমরা তার নির্দেশনা মোতাবেক কাজ করছি। এ কাজে কেউ অনিয়ম করতে পারবেননা।

এছাড়াও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সর্বিক) মো: আনোয়ার হোসেন ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) রফিক উননবী জেলার নকলা, নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার নির্মানাধীন ঘর পরিদর্শন করেন। এসময় তারা কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর নির্মান ব্যয়ের চেয়ে তৃতীয় পর্যায়ের ঘর নির্মান ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে জেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ২৯১টি পরিবারকে জমিসহ ঘর প্রদান করা হয়েছে।

প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। আর দ্বিতীয় পর্যায়ে দেওয়া হয় ১৬৭টি ঘর। এগুলোর প্রতিটি নির্মাণে ব্যয় হয় ১ লক্ষ ১৯১ হাজার টাকা। বর্তমানে তৃতীয় পর্যায়ে আরও ১৬৯টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়া হচ্ছ। এগুলোর প্রতিটি নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা করে।

২ শতাংশ জমির উপর দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি ঘরে থাকছে একটি রান্না ঘর, টয়লেট ও সামনে খোলা বারান্দা। সুবিধাভোগীদের এসব ঘরসহ জমি কবুলিয়াত করে দেয়া হবে। তৃতীয় ধাপের ঘরগুলোকে আরও মজবুত করতে ব্যয় বাড়িয়ে লিংটেন ও বারান্দায় পিলার করে দেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে শেরপুরের জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদ বলেন, আমরা স্বচ্ছতার সাথে আশ্রায়ন প্রকেল্পর কাজ সম্পন্ন করছি।ইতিপূর্বেও আমাদের শেরপুরের ঘর নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠেনি। এবারো হবে না। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আমাদের জেলার গৃহহীন ও ভূমিহীনদের তৃতীয় ধাপে আরও ১৬৯টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর প্রদান করা হচ্ছে।

আগামী মার্চ মাস নাগাদ ঘরগুলোর কাজ পুরোপুরি শেষ হবে বলে আমরা আশা করছি। এর আগে আরও ৪৫৮টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর আমরা হস্তান্তর করেছি।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: