পঞ্চগড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে সেলুন পাঠাগার
মোঃ লিহাজ উদ্দিন, (পঞ্চগড়):
সেলুনে বসে অপেক্ষায় থাকা ব্যক্তিদের দীর্ঘ সারি । কেউ চুল কাটাবে, কেউ বা দাড়ি কাটাবে। তাইতো অপেক্ষা করা। এক সময় সেলুনে আসা ব্যক্তিদের মধ্যে যারা অপেক্ষায় থাকতো, তাঁরা পত্রিকা পড়ে সময় কাটাতেন এখন সে জায়গা দখল করে নিয়েছে মুঠোফোন। মুঠোফোন থেকে বই পড়ার দিকে ফিরিয়ে আনতে সেলুন পাঠাগারের এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন এক বইপ্রেমী।
পঞ্চগড় শহরের তেঁতুলিয়া সড়কের পাশে চৌধুরী কমপ্লেক্সে অবস্থিত ‘নিউ পার্সন জেন্টস পার্লার’। বাইরে থেকে অন্যসব সেলুনের মতোই মনে হবে। কিন্তু ভেতরে গেলেই বদলে যাবে দৃশ্যপট। মনে হবে যেন সেলুনের মাঝেই এক টুকরো পাঠাগার। ব্যতিক্রমী সেলুনটি গড়ে তুলে সাড়া ফেলেছেন পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আল আমিন।
গতকাল (২৯ জানুয়ারি) শনিবার দুপুরে সেলুন পাঠাগারটির উদ্বোধন করেন, পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মো. দেলোয়ার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, পঞ্চগড় পর্যটন উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি হাসনুর রশিদ বাবু, নাট্যদল ভূমিজের সভাপতি সরকার হায়দার, সময় টেলিভিশনের পঞ্চগড় প্রতিনিধি আব্দুর রহিম প্রমুখ। সেলুন পাঠাগারে একটি রেকে সাজানো আছে ৫০টির মতো ইতিহাস, সাহিত্য, গবেষণা, ধর্মীয় ও মনীষীদের জীবনীর বই।
দোকানে দুইজন চুল কাটাচ্ছেন। বাকিরা নির্বিঘ্নে বই পড়ছেন। বইপ্রেমি আল-আমিন জানান, সেলুনে লম্বা সিরিয়াল নিয়ে মানুষ অপেক্ষায় থাকে। এসময় সবাই ব্যস্ত থাকেন মোবাইল নিয়ে। এই সময়টাকে মোবাইল ফোনের পরিবর্তে বইয়ের দিকে ফিরিয়ে আনতে সব শ্রেণি পেশার মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস তৈরী করতে এই উদ্যোগ।
২১শে ফেব্রুয়ারির চেতনায় পঞ্চগড়ে ২১টি সেলুন পাঠাগার তৈরী করবো। সেলুন মালিক আলমগীর জানান, আগে যখন কাস্টমার আসতো তখন সবাই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতো গেমস খেলতো। এখন পাঠাগার হওয়ায় সবাই বই পড়ছে।