শিরোনাম

South east bank ad

দুপচাঁচিয়ার সবকটি ইউনিয়নেই আ. লীগ প্রার্থীদের ভরাডুবি

 প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া):

নিয়নের নির্বাচনে ৫টিতেই আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। ৫টির মধ্যে তিনটিতে দ্বিতীয় স্থান পেলেও ভোটের ব্যবধান ছিল অনেক বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবধান ছিল গুনাহার ইউনিয়নে।

এ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা জামায়াতে কর্ম পরিষদ সদস্য ও গুনাহার ইউনিয়ন জামায়াতের রুকন নূর মোহাম্মদের কাছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহ আব্দুল খালেক ১১ হাজার ৯৯৪ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।

এছাড়াও জিয়ানগর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি সমর্থক আনোয়ার হোসেনের কাছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কামরুজ্জামান ১ হাজার ৫১৭, চামরুল ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির সদস্য শাহজাহান আলীর কাছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আজমল হোসেন ৭ হাজার ৬৬৩, সদর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির নেতা মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল বাখের সেন্টু ৩ হাজার ৯৫৭ ও গোবিন্দপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন মল্লিকের কাছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুর রশিদ মঞ্জু ৬হাজার ২২৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।

সবকটি ইউনিয়নেই এতবড় ব্যবধানে আওয়ামী লীগ প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় এলাকায় জনগণের মাঝে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।

জামায়াত-বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা, প্রার্থী মনোনয়নের সিদ্ধান্তহীনতা, দলীয় কোন্দল, প্রতিপক্ষের কালো টাকা, স্থানীয় নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান প্রার্থী ছেড়ে মেম্বর প্রার্থীদের নিয়ে মাতামাতি সর্বপরি নির্বাচনে দলীয় নেতাদের গা ছাড়া ভাবের কারণে নৌকা প্রার্থীদের ভরাডুরি কারণ বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে এবিষয়ে সহসাই কোনো মুখ খুলছে না।

দুপচাঁচিয়া উপজেলার গুনাহার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শাহ আব্দুল খালেক নৌকার ভরাডুবি প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের দলীয় নেতা জামায়াতের পক্ষে কাজ করায় আমার পরাজয় হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জিয়ানগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুজ্জামান রিপন বলেন, “আমার ইউনিয়ন কমিটির সভাপতিসহ বেশিরভাগ নেতাকর্মী নৌকার পক্ষে কাজ করেননি। এবিষয়ে উপজেলা ও জেলা কমিটির কাছে অভিযোগ করেও কোন লাভ হয়নি। ”

এবিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক জানান, “৫টি ইউনিয়নের ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ায় তাদের পক্ষে বেশিরভাগ দলীয় নেতাকর্মীরা ভোট করায় এ পরাজয়ের মুল কারণ। তবে দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিজয়ের লক্ষ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সমন্বয়ে প্রত্যেক ইউনিয়নে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ”

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: