বছরের প্রথম দিনে নতুন বই পেল চুনারুঘাটে ৪২ হাজার শিক্ষার্থী

নুর উদ্দিন সুমন, (হবিগঞ্জ):

করোনাভাইরাসের কারণে গতবারের মতো এবারও উৎসব করে বই দেওয়া হচ্ছে না। তবে, এ বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে বই দেওয়া হয়েছে।

গত শনিবার (১ জানুয়ারি) ২০২২ সালের নতুন বছরের প্রথম দিনে উপজেলার চুনারুঘাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন পাঠ্য বই তুলে দিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ রানা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: আমিনুল হক, সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশিদ, জাহানারা বেগম, হুসনেআরা বেগম, সুরাইয়া পারভীন, শিরিন আক্তার, রেজিয়া খাতুন, মানসীদেবরূপু, রোমানা বেগম জায়গীরদার, মিসবাহ উদ্দিন, সহ আরো অনেকেই। সকালে চুনারুঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভিড় ছাড়াই আলাদা আলাদা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বই দেওয়া হচ্ছে।

১০টা থেকে উপজেলার ১৭১ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর মধ্যে ধাপে ধাপে প্রায় ৪২ হাজার শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকগণ। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মাসুদ রানা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর সেভাবে বই উৎসব না হলেও আমরা বছরের প্রথম দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিত শতভাগ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিয়েছি।

এছাড়াও একই সময়ে উপজেলার ডিসিপি উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন পাঠ্য বই তুলে দিয়ে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্কর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তৈয়বা খাতুন, চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো: কামরুল ইসলাম, শিক্ষক সাইফুর রহমান সহ আরো অনেকেই। ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন বই হাতে পেয়ে খুশি হাজারো ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।নতুন শ্রেণীতে নতুন বই পাওয়ার আনন্দই অন্যরকম। সে বই যদি বিনামূল্যে পাওয়া যায় তাহলে তো কথাই নেই।

এর মধ্যে এক ধরনের সার্বজনীনতাও রয়েছে। কেননা দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের অনেকেরই নতুন বই কেনার সামর্থ্য থাকে না। তারা আগে পুরনো বই দিয়েই বছর পার করত।

এখন সবার হাতেই নতুন বই। তাই উৎসবমুখর পরিবেশে সর্বস্তরের শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথমদিনে পাঠ্যপুস্তক উৎসবে পরিণত হয়েছে। উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান, উপজেলার ১৭১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চাবাগান ১৬ টি, ৪ টিএনজিও এর ৭০টি বিদ্যালয় এবং কিন্ডারগার্টেনের ৮০ টি বিদ্যালয়সহ মোট ৩৩৭টি প্রতিষ্ঠানের শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়।