১৫ দিন পর ভ্যান চালক খুনের রহস্য উদঘাটন, আটক- ৪
শফিকুল খান জনি, (ফরিদপুর) :
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ভ্যান চালক পারভেজ ফকির হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর খুনের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে আসামীদের ১৬৪ ধারা জবানবন্দি দেওয়ার পর তাদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আটককৃতরা হলো- মাদারীপুরের শিবচর থানার চর শরীফাবাদ কান্দির গ্রামের আব্দুস সালাম মাদবরের ছেলে হৃদয় মাদবর (২৩), উৎরাইল গবিন্দ্রকান্দি গ্রামের নুরু মুন্সীর ছেলে আজিজুল মুন্সী (২৮), ভাঙ্গার আতাদি গ্রামের সামচু শেখের ছেলে ফজলে শেখ (৪০) ও কাপুড়িয়া সদরদী গ্রামের আব্দুল মোল্যা (৩৫)।
এদিকে নিহত পারভেজের ভ্যানটি ভাঙ্গা থেকে ও মাদারীপুর জেলার শিবচরের একটি পুকুর থেকে তার মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
গত ১৩ অক্টোবর ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের আড়িয়াল খাঁ নদীর পাড়ে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশের শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। ১৫ অক্টোবর পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ফকিরের কান্দি গ্রামের অজ্ঞাত যুবক পারভেজ ফকিরের বলে তার বাবা বাবুল ফকির শনাক্ত করেন। পরে ওই দিন বাবুল ফকির বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে আসামি করে মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, ১২ অক্টোবর রাত ৮টার সময় হৃদয় ও আজিজুল ভ্যানচালক পারভেজকে নিয়ে বিচারগান শুনতে ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ এলাকার নদীর পাড়ে যায়। সেখানে ভ্যানের রশি গলায় পেঁচিয়ে পারভেজকে হত্যা করে তারা। পরে হৃদয় ও আজিজুল ভাঙ্গা এলাকার ফজলে শেখ ও আব্দুল মোল্যার কাছে ১০ হাজার টাকায় ভ্যানটি বিক্রি করে পালিয়ে যায়।
পুলিশ আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা হৃদয় ও আজিজুল একজন মাদক ব্যবসায়ী ও ছিনতাইকারী। টাকার জন্য পারভেজকে হত্যা করে তারা ভ্যান বিক্রি করে।
ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বিকাশ মণ্ডল জানান, '১৫ দিন পর হত্যার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছি। ভাঙ্গা ও শিবচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।'