এটা রাস্তা নয় যেন বোরো আবাদি জমি, চেয়ারম্যান এই রাস্তায় আসে না
এইচ কবীর টিটো, (গফরগাঁও) :
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের গ্রামীণ সড়কের বেহাল দশা। এটা রাস্তা নয় যেন বোরো আবাদি জমি! ক্ষোভে ফুঁসছে নিগুয়ারী ইউনিয়নের ঐ এলাকার মানুষ।
নিগুয়ারী বিসারটেক বাজার থেকে ধামলীটেক ১ কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা সড়ক পাকাকরণ না হওয়াতে দুর্ভোগের যেন শেষ নেই স্থানীয় এলাকার কয়েক হাজার মানুষের। সামান্য বৃষ্টি হলে কাঁদা পানিতে যানবাহন তো দূরের কথা মানুষকে পায়ে হেঁটে চলতেও পোহাতে হয় নানান ভোগান্তি। অথচ সড়কগুলো পাকাকরণ বা সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ নেই বলে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এই রাস্তার পাশে থাকা স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসা সহ রয়েছে কোমলমতি শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয়।ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, আমাদের এলাকায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি থাকলেও তার আচরণে ও কর্মততপরতায় প্রকাশ পায় পাথর মানুষের।আমাদের কষ্টে চেয়ারম্যানের কিছুই যায় আসে না।
এই রাস্তার আশেপাশে রয়েছে সম্ভাবনাময় বেকার তরুণদের হাতে গড়ে উঠা মৎস ও পল্ট্রি শিল্প।যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুকের কারণে সব ধ্বংসের পথে রয়েছে বলে স্থানীয় তরুণ-যুবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সাহাবউদ্দিন খানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বৃষ্টি না থাকলে ৮থেকে ১০ গাড়ি বালু দিয়ে দিবো।এটা পাকা কিংবা হিরিংবন এর জন্য আমার কাছে বরাদ্দকৃত কিছু নেই।আমার বাড়ির সামনের রাস্তার একই হাল।
অন্যদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের গ্রাম বাংলার অবকাঠামো উন্নয়নে আধুনিকরণের ফলে গফরগাঁও উপজেলার গ্রামের দৃশ্যপটে টিআর-কাবিটা প্রকল্পে পাল্টে গেছে গ্রামীণ রাস্তা ঘাট। যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনে কৃষি, ব্যবসা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে ক্ষেত্রে উন্নত হলেও এখানে ঠিক তাঁর উল্টো।
কাবিটার অর্থ বরাদ্ধ দিয়ে মাটি ভরাট করা হলেও বছর না পেরুতে বর্ষার পানিতে সব ধুয়ে মুছে চলাচলের অনুপোযোগী গয়ে পড়ে। আর এতে সরকারী অর্থও গচ্ছা যাচ্ছে বার বার। সড়কের কাজ শতভাগ করেও মাঠ পর্যায়ে দৃশ্যমান হয় না। কাবিটা প্রকল্পের অর্থায়নে সড়ক সিসি করণ, এইচ বিবি করণ ও মাটি ভরাটের কাজ করা হলে নতুন পদ্ধতিতে সড়ক সংস্কারে পথচারীরা যাতায়াতে দীর্ঘস্থায়ী সুফল ভোগ করবে বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন।