বরগুনার সাংসদ রিমনের হাতে ব্যবসায়ী লাঞ্চিত
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা) :
বরগুনা-২ (বেতাগী,বামনা,পাথরঘাটা) আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমনের হাতে স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ী লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে- বুধবার বিকালে পাথরঘাটা ছাত্রলীগ আয়োজিত স্বাধীনতা সূবর্ণজয়ন্তী পাথরঘাটা প্রিমিয়াম লীগ ফুটবল খেলায় মোটরসাইকেল বহর নিয়ে আসার সময় খেলোয়াড়দের বহনকরা মাইক্রোবাসটিকে এমপি'র লোকজন সাইড দিতে বলেন।
সরু রাস্তার কারণে মাইক্রোচালক সাইড না দেয়ায় এসময় ক্ষেপে যান এমপি। পরে সভা মঞ্চে উঠে মাইক্রোবাসে থাকা পাথরঘাটা বিএএফডিসি মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামকে ডেকে নিয়ে কেন তার মোটরসাইকেল বহরটিকে সাইড দেয়া হয়নি বলেই মারধর শুরু করেন জনসম্মুখে। এসময় তিনি বিভিন্ন ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং পা ধরে ক্ষমা চাইতে বলেন পাথরঘাটা মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলামকে।
মঞ্চে উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জাবির ও আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার সংসদ সদস্যর আচরণে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন-এমপি আমাকে বলেছেন- নজরুল মাইক্রো বাসটির ড্রাইভারকে সাইড না দেয়ার জন্য বলছেন। এজন্যই তিনি কয়েকটি চড়-থাপ্পড় মেরেছেন।
এর আগেও তিনি সাধারণ জনগণকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ মারধর করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বরগুনার-২ আসনের ভুক্তভোগীরা। বছরখানেক আগেও তার গালিগালাজ সহ একটি রেকর্ড ভাইরাল হওয়ার খবর রয়েছে গণমাধ্যমে। স্থানীয় সাংসদ হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ মামলা করতে সাহস পান না।
এ ব্যাপারে আড়ৎদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার বলেন- দেখেছি এমপি চড়-থাপ্পড় মেরেছেন। মনে হয় কোন বেয়াদবি করেছে। আমার কাছে বিষয়টি এক ধরনের ভুল বোঝাবুঝি মনে হচ্ছে।
মঞ্চে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পাথরঘাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন আকঁন, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলমগীর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এড. জাবির, আড়ৎদার সমিতির সভাপতি, জাহাঙ্গীর জমাদ্দারসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
আহত মাছ ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম জানান- রাস্তায় গাড়ীর সাইড দেয়ার মত অবস্থা না থাকায় মাইক্রোচালককে সাইড দিতে পারেনি ড্রাইভার। এমপি আমাকে মঞ্চে প্রকাশ্যে গালিগালাজ করে চড়-থাপ্পড় মারেন এবং তার পা ধরে ক্ষমা চাইতে বলেন।
এ বিষয়ে বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শওকত হাচানুর রহমান রিমন মুঠোফোনে জানান- নজরুল খারাপ লোক তাই আমি তাকে চড় মেরেছি। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চড় মারা আমার অপরাধ হলে আমার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করুক।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশার বলেন- আমি মৌখিকভাবে বিষয়টা শুনেছি। এ বিষয়ে কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ করলে আমরা আইনগত প্রক্রিয়ায় যাবো।