শিরোনাম

South east bank ad

বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া টিফা সই : দুই দেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়ানোর প্রত্যাশা

 প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   অটোমোবাইল

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফ্রেমওয়ার্ক অ্যারেঞ্জমেন্ট (টিফা) সই করা হয়েছে। ফলে উভয় দেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে গতকাল বুধবার ১৫ সেপ্টেম্বর এ টিফা সই করা হয়। এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এতে সই করেন দেশটির বাণিজ্য, পর্যটন ও বিনিয়োগবিষয়ক মন্ত্রী ডান টিহান।

উক্ত অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করার জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধার প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত সেবা সহজ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রায় ১৭ কোটি মানুষের একটি বড় বাজার। এজন্য অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কভিড-১৯-এর কারণে গত দুই বছর বাণিজ্য আশানুরূপ হয়নি উল্লেখ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তবে তিনি বলেন, উভয় দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারেন। বাংলাদেশ সরকার এজন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। আশা করা যায়, এ টিফা স্বাক্ষরের ফলে উভয় দেশ উপকৃত হবে। বেসরকারি সেক্টরে আগ্রহ বাড়বে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়া ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশকে ডিউটি ফ্রি ও কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিয়ে আসছে। এজন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। আগামী ২০২৬ সালে এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পরও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে প্রদত্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে এবং বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় এলডিসি গ্রুপের প্রস্তাবে সমর্থন থাকবে বলে আশা করছি।

অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে ডান টিহান বলেন, টিফা স্বাক্ষরের মাধ্যমে উভয় দেশের বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি আইসিটি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক ও শিক্ষাসহ বেশকিছু সম্ভাবনাময় সেক্টর রয়েছে।

ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার জেরেমাই ব্রুয়ার, ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ শফিউর রহমান। অনুষ্ঠানে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. হাফিজুর রহমান, অস্ট্রেলিয়ার ডেপুটি হাইকমিশনার নার্দিয়া সিম্পসনসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কমকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

BBS cable ad

অটোমোবাইল এর আরও খবর: