৩৩ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে নিমজ্জিত
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণার পরও বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে সাড়ে চার হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদানে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে ৩৩টি বিদ্যালয়।
যমুনার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় উপজেলার ৩৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আংশিক নিমজ্জিত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে পানি ওঠার কারণে পাঠদানে অনিশ্চয়তার দেখা দিয়েছে।
বন্যার পানিতে উপজেলার ৩০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা এখনো আংশিকভাবে পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্ত মেঝে, দেয়াল ও মাঠ মেরামতের জন্য সম্ভাব্য খরচের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৭০ লাখ টাকা।
উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিজামউদ্দিন উচ্চবিদ্যালয়টি এখন পানিতে নিমজ্জিত। বিদ্যালয়টির তিনতলা ভবনের নিচতলা এখনো পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। বিদ্যালয়ের মাঠে এখন অথই পানি। প্রতিষ্ঠানটির চারপাশও পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কাজকর্ম অন্যত্র স্থানান্তরের কাজ চলছে।
অপর বিদ্যালয় হলো উত্তর টেংরাকুড়া উচ্চবিদ্যালয়। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষক রয়েছেন ২৫ জন এবং শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৯০০। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস থেকে বলা হয়েছে পানি যেহেতু দ্রুত কমছে, তাই কয়েক দিনেই প্রতিষ্ঠান থেকে পানি নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, উপজেলার ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্য দুটি প্রতিষ্ঠান যমুনাগর্ভে বিলীন হয়েছে।
এগুলোর মধ্যে ভাঙ্গরগাছা ও মানিকদাইড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি সম্পূর্ণ যমুনায় বিলীন হয়ে যাওয়ায় এগুলো অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়েছে। বিদ্যালয় দুটি অন্যত্র স্থানান্তর করতে সম্ভাব্য খরচের পরিমাণ ধরা হয়েছে ৬ লাখ টাকা।
এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক রয়েছেন ১২৫ জন। অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩ হাজার ৪৯০। ৩০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫৪টি ভবন এখন পানিতে আংশিকভাবে নিমজ্জিত।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম কবির বলেন, সব মিলিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৭০ লাখ টাকার অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। এগুলোর মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাসেল মিয়া বলেন, বিদ্যালয়গুলোর আশপাশে কোনো উঁচু স্থান পাওয়া গেলে সেখানে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের চেষ্ঠা চালানো হচ্ছে।