আগুন থেকে রক্ষা পেলনা দুই কৃষকের ৬টি গরু
প্রদীপ মোহন্ত, (বগুড়া) :
জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেও শেষ রক্ষা হয়নি বগুড়ার ধুনট উপজেলায় দুই কৃষকের স্বপ্ন। আগুনে পুড়ে মারা গেছে ওই দুই কৃষকের গোয়ালঘরসহ ৬টি গরু। মঙ্গলবার মধ্যরাতে উপজেলার বিলচাপড়ি ও আড়কাটিয়া গ্রামে পৃথক এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বিলচাপড়ি গ্রামের শাহিনুর রহমান প্রায় ৫ বছর ধরে নিজ বাড়িতে গরুর খামার করেছেন। তার খামারে ৫টি গাভি ছিল। মঙ্গলবার রাতে খামারের বাধা গরুগুলোকে খাওয়ানো শেষ করে শাহিনুর রহমান ঘুমিয়ে পড়ে। এ অবস্থায় খামার ঘরের বারান্দায় রাখা পাটকাঠি থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। এ সময় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯-এ ফোন করেন শাহিনুর। কিন্ত ফায়ার সার্ভিসের দল ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই ৫টি গাভি আগুনে পুড়ে মারা যায়। খবর পেয়ে ধুনট থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই আগুনে পুড়ে সব শেষ হয়ে গেছে।
খামার মালিক শাহিনুর রহমান বলেন, প্রতিবেশিদের চিৎকার শুনে ঘর থেকে দৌড়ে খামার ঘরে যাই। অনেক চেষ্টা করেও গরুগুলো বের করতে পারিনি। এই অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি তার কাছে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। তবে কেউ শক্রতা করে আগুন দিয়েছে কি না, তাও তিনি বলতে পারছেন না।
অপরদিকে একই সময় আড়কাটিয়া গ্রামের কৃষক রহিম উদ্দিনের গোয়ালঘরে মশা তাড়ানোর কয়েল থেকে আগুন লেগে ১টি গাভি মারা গেছে। এতে দুই কৃষকের প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই গরুগুলো ছিল দুই কৃষকের শেষ সম্বল।
ধুনট ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার হামিদুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ থেকে অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে বিলচাপড়ি গ্রামে পৌছার আগেই খামার পুড়ে ৫টি গরু মারা গেছে। এ ছাড়া একই সময় আড়কাটিয়া গ্রামে আগুন লাগার খবর পেয়ে সেখানে গিয়েও রক্ষা করা যায়নি ১টি গরু। একই সময় পৃথক ২টি অগ্নিকান্ডের ঘটনার কারণে কোনটাই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে রাতেই বিলচাপড়ি গ্রামে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। রহস্যজনক অগ্নিকান্ডের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।