বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাসায় ৮ দিন ধরে প্রেমিকার অনশন
ফরিদুল ইসলাম রঞ্জু, (ঠাকুরগাঁও) :
ঠাকুরগাঁওয়ে বিয়ের দাবিতে গত আট দিন ধরে প্রেমিকের বাসায় অবস্থান করছে এক প্রেমিকা।ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গড়েয়া গোপালপুর গ্রামে।
এদিকে দফায় দফায় আপোশ মিমাংসার জন্য বৈঠক হলেও ঘটনার ৮ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও এখনো কোন সমাধান না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
জানা যায়, গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের আব্দুর সাত্তারের মেয়ে শাহিদা আক্তার(২২) এর সাথে কয়েক বছর আগে ঠাকুরগাঁও শহরের মুন্সির হাটের তরিকুলের সাথে বিয়ে হয়। তার স্বামীর সাথে পারিবারিক কলহের কারনে দুই বছর থেকে বাবার বাসায় অবস্থান করছিলো শাহিদা। দীর্ঘ দিন ধরে বাবার বাসায় অবস্থান করার ফলে শাহিদা আক্তারের স্বামী আরেকটি বিয়ে করেন।
এরই মধ্যে গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের বেলাল ইসলামের ছেলে মানিক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক একাধিক বার শারিরিক সম্পর্ক করে। এদিকে শাহিদা মানিককে বিয়ের জন্য চাপ দিলে মানিক তার কথায় কর্ণপাত না করে আজ কাল করে দিন পার করছিলো। বিষয়টি বুঝতে পেরে গত ৭ আগষ্ট শাহিদা বিয়ের দাবিতে মানিকের বাসায় গিয়ে উঠে।
অপরদিকে মানিকের পরিবারের লোকজন শাহিদাকে তাদের বাড়ি থেকে টানাহ্যাঁচড়া করে বের করে সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘরে তালা মেরে বন্দী করে রাখে। গত ৮ আগষ্ট প্রকল্পের ঘর ও জায়গা হস্তান্তর করার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও গড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেখানে যান । শাহিদা আক্তার যেন তাদের সাথে দেখা করতে না পারে সে জন্য তাকে ঘরে বন্দি করে তালা মেরে রাখা হয় বলে জানায় স্থানীয়রা।
এ খবর জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন ও কয়েকজন সংবাদকর্মী শাহিদাকে বন্দী অবস্থা থেকে উদ্ধার করে মানিকের পরিবারের হাতে তাকে তুলে দিয়ে স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি সমাধান করতে বলেন।
এদিকে গত ৯ আগষ্ট রাতে বিয়ে দেওয়ার কথা বলে মানিকের পরিবার শাহিদাকে নিয়ে স্থানীয় সোহরাব কাজীর কাছেও যায়, কিন্তু ৩ লক্ষ টাকা মোহরানা করতে চাইলে বিয়ে না দিয়েই ফেরত নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় দফায় দফায় আপোশ মিমাংসার জন্য বসা হলেও ঘটনার ৮ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কোন সমাধান না হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টি সমাধানে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।