অভ্যন্তরীণ যান না থাকায় ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
এম.এস রিয়াদ, (বরগুনা)
গত ৩১ জুলাই হঠাৎ করেই বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সাময়িকভাবে নৌ চলাচলে নির্দেশনা দিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এমন তথ্য পেয়ে ঢাকায় চাকুরীরত শ্রমিকরা আটকে থাকা নিজ গ্রাম থেকে ছুটতে শুরু করে।
তবে পথে পথে ভোগান্তির যেন সীমা নেই তাদের। বরগুনা থেকে ঢাকাগামী শ্রমীকরা বলছেন, এ যেন চোরকে চুরি করতে বলে গৃহস্তকে সজাগ থাকতে বলার মতো অবস্থা। দূরপাল্লার যান চলাচল ও নৌরুট খোলা রেখে অভ্যন্তরীণ যান চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছে তারা।
অন্যদিকে, প্রশাসনের কড়াকড়িতে ভীত হয়ে পড়েছে দূরপাল্লার পথচারীরা। অনেকটা পথ হেঁটে যাওয়ার কারনে গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন জেলার জেলা প্রশাসন থেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ পথচারীদের জরিমানা করা হচ্ছে। এ যেন মরার উপর খরার ঘা। একদিকে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। অন্যদিকে প্রশাসনের দৌঁড়োনী।
তবে সচেতন মহলের ভিন্নমত। তারা বলছেন, সরকারের উচিত একদিক খুলে অন্যদিক বন্ধ রেখে নয় বরং এক সপ্তাহের সময় দিয়ে নির্দিষ্ট একটি সময় বেধে দেয়া। যে সময়টিতে প্রচলিত (কমন) সমস্যা ছাড়া ঘরের বাহিরে কোন ভাবেই বের হতে পারবেন না। তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হয়তো তাতেই করোনা থেকে সুলভ রক্ষা পাওয়া যেতে পারে।