সজীব গ্রুপের ঋণ আদায় নিয়ে শঙ্কায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো
গত ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেম ও এমডি সজীবসহ ৮ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের ৪ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এদিকে কারখানায় আগুনের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে ঋণ আদায় নিয়ে চিন্তায় পড়েছে দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির কাছে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার কোটি টাকার ঋণ পাওনা রয়েছে।
গত এক দশক আগেও গ্রুপটির ঋণের আকার ছিল ৫০০ কোটি টাকার মতো। পরে সজীব গ্রুপ তার আকার বাড়ালে ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৯০ কোটি টাকায়।
সজীব গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- সজীব ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড, সজীব হোমস লিমিটেড, সজীব করপোরেশন, সজীব লজিস্টিকস ও স্যাভি ফুডস, তাকাফুল ইসলামী বিমা লিমিটেড, মারস ইন্টারন্যাশনাল, হাসেম ফ্লাওয়ার মিলস লিমিটেড, হাসেম অ্যাগ্রো প্রসেসিং লিমিটেড এবং হাসেম অটো রাইস মিলস।
এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শুধু সজীব করপোরেশনের নামে ঋণ রয়েছে ৩৬০ কোটি টাকা। এছাড়া ৩৩৮ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে হাসেম রাইস মিলস লিমিটেডের নামে। বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঋণ পাওয়ার বিষয় নিয়ে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানসহ ঊর্ধ্বতন সবাই আটক রয়েছেন। এমন অবস্থায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে পরবর্তী ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাসেমের বাড়ি লক্ষ্মীপুরে। আবুল হাসেম ১৯৮২ সালে পাকিস্তানের সেজান জুস আমদানির মধ্য দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে সেজান জুসসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের উৎপাদন শুরু করে তার কোম্পানি।