ফুলপুরে ৩য় দিনেও কঠোর লকডাউনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় জরিমানা
এইচ. এম জোবায়ের হোসাইন (ময়মনসিংহ) :
ময়মনসিংহের ফুলপুরে ৩ জুলাই শনিবার প্রাণঘাতী নোবেল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কারণে সরকারের দেওয়া কঠোর লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকানপাট খোলা সহ স্বাস্থ্যবিধি না মেনে ও মাস্ক ব্যবহার না করে নানান মিথ্যা অজুহাতে বাজারে ঘোরাফেরা করায় কয়েকজনকে বিভিন্ন ধারায় জরিমানা (অর্থদণ্ড) দেওয়া হয়।
ফুলপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শীতেষ চন্দ্র সরকার ও ময়মনসিংহ জেলার সহকারী কমিশনার ও বিঞ্জ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ এরফানুর রহমান(১৮৯৭৪)। এসময় সাথে ছিলেন উপজেলা আইটি টেকনিশিয়ান বাশার, তাক্ওয়া অসহায় সেবা সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক তপু রায়হান রাব্বি, ফুলপুর থানার পুলিশ ফোর্স সহ ক্যাপ্টেন শাছারিয়ার তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ফোর্স ও সাংবাদিকবৃন্দ ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, অ্যাপিয়ারিং প্রাণঘাতী নোবেল করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে হলে সকলকে কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ মানতে হবে। যারা সরকারের দেওয়া এ লকডাউন অমান্য করবে তাদেরকে বিভিন্ন ধারায় অর্থদণ্ড বা কারাদণ্ড প্রদান করা হবে। শনিবার যারা এ লকডাউন এর বিধিনিষেধ অমান্য করে দোকানপাটহ খোলা সহ অকারনে বাহিরে ঘোরাফেরা করেছেন অনেক কেই বিভিন্ন ধারায় অর্থ দন্ড প্রদান করা হয়েছে ।
অপর দিকে কঠোর বিধিনিষেধ এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে জেলার সহকারী কমিশনার ও বিঞ্জ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ এরফানুর রহমান(১৮৯৭৪) বলেন, বিধিনিষেধ কার্যকর করতে জেলায় অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের ম্যাজিস্ট্রেটরাও মাঠে রয়েছেন। শনিবার আমি ফুলপুরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি এবং প্রমাণ ছাড়া যারা নানান মিথ্যা অজুহাতে ঘর থেকে বাহিরে বের হয়েছেন এবং নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে দোকান খুলেছেন অনেকেই জরিমানা করেছি । সেই সাথে কঠোল লকডাউন এর বিভিন্ন নিয়ম কারণও বলে দেওয়া হয়েছে।
প্রাণঘাতী নোবেল করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ১লা জুলাই থেকে ৭ দিনের জন্য দেশজুড়ে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়েছে। আগামী ৭ জুলাই পর্যন্ত থাকবে এই কঠোর লকডাউন। আর এই কঠোর লকডাউনকে শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাঠে থাকবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ইউএনও, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব এবং পুলিশ বাহিনী।