টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে সাতক্ষীরা উপকূলের মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত
এমএ জামান সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে উপকূলের মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে এখনো তিন দিন একটানা বৃষ্টি হতে পারে। আষাঢ়ের শুরুতে বৃষ্টি হওয়ার করণে ক্ষতির মুখে পড়েছে সাধারণ মানুষ। টানা বৃষ্টিতে কমে গেছে উপকূলের মানুষের আয়। পানিতে ভেসে গেছে লক্ষ লক্ষ টাকার মৎস্য সম্পদ। ভেসে গেছে নিম্নাঞ্চলের শীতকালীন সবজির বাগানসহ ঘর বাড়ি সুপেয় পানির পুকুর। ক্ষতি হয়েছে মানুষের চলাচলের রাস্তা। তবে বৃষ্টির সাথে সাথে যদি পানি বের হওয়ার ব্যবস্থা থাকে তাহলে এ ধরণের ক্ষতির আশঙ্কা থেকে মুক্তি পাবে। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী মহল তারা পানি বের হওয়ার মতো ছোট খালগুলো নিজেদের দখলে রাখার কারণে প্রতিবছর বৃষ্টির পানিতে ডুবতে হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রতিনিয়ত ঝুঁকির মধ্যে থাকে উপকূলের মানুষ। কখনো নদী ভাঙন, আবার কখনো নদী ওভারফ্লো, অতি বৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ঝড়সহ একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মূখিন হতে হয়। করোনা ও ইয়াসের কারণে উপকূলের মানুষের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তারপরে আবার একটানা বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতিতে পড়েছে তারা।
মুন্সীগঞ্জ গ্রামের ঘের মালিক শওকাত আলী বলেন, ইয়াসের পরে ঘেরে কেবল মাছ উঠা শুরু হয়েছিল কিন্তু একটানা বৃষ্টির ফলে ঘরবাড়ি আবার পানিতে ডুবে মাছ সব ভাসিয়ে নিয়ে গেছে।
বুড়িগোয়ালীনি গ্রামের সবজি চাষী আশিষ রায় বলেন, বৃষ্টির কারণে আমাদের সবজি বাগান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। আবার নতুন করে সবজি লাগতে হবে। ধানখালী গ্রামের ফারুক হোসেন বলেন, আমার ঘর বাড়ি পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে। তাছাড়া সবজির বাগান পানির নিচে আছে। কলবাড়ি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যে পরিমান বৃষ্টি হচ্ছে যদি পানি বের হওয়ার পথ থাকতো তাহলে আমাদের ক্ষতি হতো না। পানি বের হওয়ার পথগুলো কিছু মানুষ দখল করে নিয়ে বসে আছে। যে কারণে প্রতিবছর পানিতে ডুবে যায়। মুন্সীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, টানা বৃষ্টির কারণে মানুষের ঘের, সবজির বাগান, রাস্তাঘাট, পানির পুকুরসহ ঘর বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। পানি সরানোর ব্যবস্থা করা না গেলে সব নষ্ট হয়ে যাবে। কিছু অসাধু মানুষ তারা পানি সরার পথে নেটপাটা দিয়ে আটকে রেখেছে। সেগুলো উঠিয়ে না নেওয়ার কারণে জলবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। বুড়িগোয়ালীনি ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডল বলেন, ইয়াসের ক্ষত কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আবার টানা দুদিনের বৃষ্টিতে ঘেরবেড়িসহ সকল আয়ের উৎস পানিতে ডুবে হাবুডুবু খাচ্ছে। ইয়াসের পরে আবার ক্ষতির মুখে পড়ল উপকূলের মানুষ।