South east bank ad

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের উৎসবে তারার মেলা

 প্রকাশ: ২১ মে ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   স্পোর্টস

শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের উৎসবে তারার মেলা

ঘড়ির কাঁটায় তখন পৌনে ৮টা। উৎসবমুখর হলরুমে একে একে প্রবেশ করেন ইমরুল কায়েশ, মুশফিকুর রহিম, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদী হাসান মিরাজ, ইবাদত হোসেন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান, সৈকত আলীসহ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফ। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগের ২০২১-২২ মৌসুমের নতুন চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের গত শুক্রবার ছিল উৎসবের দিন, আনন্দের দিন। বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান ও শেখ জামালের সভাপতি সাফওয়ান সোবহানের বাসভবনে চ্যাম্পিয়ন দলের সব ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। জমকালো অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিলেন চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের ক্রিকেটাররা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্রিকেট দলের সিইও ইশতিয়াক সাদেক এবং বিসিবি পরিচালক আকরাম খান, নাইমুর রহমান দুর্জয়, ড. ইসমাইল হায়দার মল্লিক, তানভীর আহমেদ টিটো, ফাহিম সিনহা, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন, আতাহার আলী খান, মোহাম্মদ রফিক, তুষার ইমরান, তারেক আজিজ খান, ইলিয়াস সানি। চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারার মেলা বসেছিল। ক্লাব প্রথম শিরোপা উৎসর্গ করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেজো পুত্র শহীদ লে. শেখ জামালকে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বিসিবি সভাপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘শেখ জামাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় ভালো লাগছে। একসময় বাংলাদেশ যখন পাকিস্তান বা অন্য দেশকে হারাত তখন আশ্চর্য হতাম। কিন্তু এখন আর আশ্চর্য হই না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের খেলাধুলা এগিয়ে নিচ্ছেন। আমাদের পরিবার ক্রীড়া পরিবার। বসুন্ধরা একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি করেছে, যা নিয়ে দেশবাসী গর্ব বোধ করবে। এখন সারা বিশ্ব জানে বাংলাদেশ ক্রিকেট খেলে। বাংলাদেশ প্রতিটি খেলায় এগিয়ে যাবে। জাতীয় দলের প্রতিটি খেলোয়াড় যেন নিজ নিজ জেলায় গিয়ে খেলাধুলার উন্নয়নে অবদান রাখেন।’
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামালের স্টাইলিস্ট ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহানকে ২৫ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ ছাড়া প্রত্যেক খেলোয়াড়কে ৫ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা বলেন। বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান বলেন, ‘আমি ক্লাবের সব খেলা দেখেছি। আলাদা করে আমি কোনো ম্যাচের কথা বলব না। ক্রিকেটার এবং কোচিং স্টাফরা একটি দল হিসেবে খেলেছে। সবার পারফরম্যান্সে সভাপতি হিসেবে আমি খুশি।’ এমন একটি জমকালো অনুষ্ঠানে এসে উৎফুল্ল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। আয়োজন নিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আমি সাধারণত এমন সব অনুষ্ঠানে যাই না। তারপরও আমন্ত্রণ পেয়ে এসে ভালো লাগছে। শেখ জামাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমি খুশি। প্রথম পর্ব থেকে শেখ জামাল দুর্দান্ত খেলেছে। মুশফিক, মিরাজ পরে যোগ দেওয়ায় দলের শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে।’
শেখ জামালকে চ্যাম্পিয়ন করার অন্যতম কারিগর সোহান লিগে ৮ ম্যাচে একটি সেঞ্চুরিসহ রান করেছেন ৪৮৩। দলকে বহু ম্যাচ জেতানোর নায়ক সোহান বলেন, ‘টিম ওয়ার্কে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’ ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের জন্য তাকে ক্লাবের সবচেয়ে স্টাইলিস্ট ক্রিকেটার বলা হয়েছে। পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন ২৫ লাখ টাকা। লিগের শুরুতে মোহামেডানের পক্ষে নাম লিখেছিলেন মুশফিক ও মিরাজ। সুপার লিগে মোহামেডান না খেলায় শেখ জামালের পক্ষে খেলেন জাতীয় দলের দুই তারকা। প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখানো অধিনায়ক ইমরুল কায়েশ বলেন, ‘আমরা সবসময় চেয়েছি একটি দল হিসেবে খেলতে। দল হিসেবে খেলেছি।’
অনুষ্ঠান শুরু হয় জাতীয় সংগীত বাজিয়ে। শেষ হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আতশবাজিতে। মাঝে সাফওয়ান সোবহান ক্রেস্ট উপহার দেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও বিসিবি সভাপতিকে। এ ছাড়া ক্লাবের পক্ষ থেকে প্রতিটি খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফ সদস্যদের একটি করে এবং ক্রেস্ট ও ক্লাবের পক্ষ থেকে ক্লাব সভাপতি সাফওয়ান সোবহানকে ট্রফি ও সব ক্রিকেটারের স্বাক্ষরখচিত একটি জার্সি উপহার দেওয়া হয় এবং চ্যাম্পিয়ন দলের ক্রিকেটার, কোচিং স্টাফদের একটি করে ক্রেস্ট দেওয়া হয়।

BBS cable ad

স্পোর্টস এর আরও খবর: