মার্চে ৪৫৮ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৯ জনের প্রাণহানি

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম
চলতি বছরের মার্চে দেশে ৪৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৮৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন ৬৪৭ জন। দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৭৬টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২২১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে পাঁচটি নৌ-দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ১৯ জনের। ১১টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন ৮ জন। এ সময়ে প্রতিদিন গড়ে ১৯ জন নিহত হয়েছে। ফেব্রæয়ারি মাসে নিহত হয়েছিল ১৬ দশমিক ৭৫ জন। এ হিসাবে ফেব্রæয়ারির তুলনায় মার্চে প্রাণহানি বেড়েছে ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এসব দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৪৬৩ জন।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের গতকাল পাঠানো এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। সংগঠনটি ৭টি জাতীয় দৈনিক, ৫টি নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনে সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ত্রæটিপূর্ণ যানবাহন; বেপরোয়া গতি; চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল; তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে ১০ দফা সুপারিশও জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।
সুপারিশগুলো হচ্ছে- দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বাড়ানো; চালকের বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা;
বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি; পরিবহনের মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত; মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্বরাস্তা (সার্ভিস লেন) তৈরি; পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ; গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ; রেল ও নৌপথ সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে সড়ক পথের ওপর চাপ কমানো; টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা এবং সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করা।