শিরোনাম

South east bank ad

ভাষা আন্দোলনে ঢাকা কলেজের অবদান ও আত্মত্যাগ

 প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ১২:০০ পূর্বাহ্ন   |   বিশেষ সংবাদ

বিডিএফএন টোয়েন্টিফোর.কম

ফেব্রুয়ারী ভাষার মাস। শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এদেশ জাতির উপহার হিসেবে পাওয়া হয়েছে এ মাসে। তাই এ অর্জিত সম্পদ পাওয়ার পিছের ইতিহাস সুদীর্ঘ। তার পিছনে রয়েছে নানান ঘাত-প্রতিঘাতের উপাখ্যান। দেশের ইতিহাসে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয় বীর সন্তানদের যাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে এদেশে বাঙলা ভাষা জয়জয়কার ও জয়গান চারদিকে প্রস্ফুটিত হয়েছে।

এদেশের নানান ঘাত-প্রতিঘাতের, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের মহান আন্দোলনে দেশের সুপ্রাচীন ও উপমহাদেশের সুবিখ্যাত জ্ঞানের পাঠশালা ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজের অবদান ও আত্মত্যাগের রয়েছে এক গৌরবগাঁথা ইতিহাস। দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে এই বিদ্যাশালার রয়েছে বিশাল অবদান। ৫২'র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭১'র মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঢাকা কলেজের ছাত্র-শিক্ষকদের অবদান রক্তিমা অক্ষরে রচিত।

জাতি হিসাবে বাঙালি এক বীরের ও আত্মত্যাগে বলীয়ান। বাঙালি জাতির জাতীয় জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হলো ৫২'র ভাষা আন্দোলন। এশিয়া মহাদেশীয় ভূত্বকের উপর দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চলে উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও বাংলাদেশ ভূখণ্ডের সর্বপ্রথম উচ্চশিক্ষার বিদ্যানিকেতন "ঢাকা কলেজ।" প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ভূখণ্ডের প্রায় প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছে। ১৯৫২ সালের মহান ভাষা আন্দোলনে এ প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-শিক্ষকদের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ অবদান।

উল্লেখ্য, তখন ঢাকা কলেজের অবস্থান ছিল পুরান ঢাকার ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন সিদ্দিক বাজারে।

তৎকালীন ২১শে ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালের দিনটিতে ঢাকা কলেজের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু, ভাষা আন্দোলনের কারণে ঐদিন ঘোষিত ছাত্র ধর্মঘট সফল করার দাবিতে ছাত্ররা তা বয়কট করে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাবেশে যোগ দেয়।

তখনকার সময়ে ঢাকা কলেজের কোনো সংগঠিত রাজনৈতিক সংগঠন ছিলো না। একারণে ছাত্র-শিক্ষকরা বিচ্ছিন্নভাবে ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। এ বিষয়টি ঢাকা কলেজের তৎকালীন সর্বজন শ্রদ্ধেয় দর্শনের শিক্ষক সাইদুর রহমান তাঁর "শতাব্দীর স্মৃতি" বইতে লিখেন, "আমি তখন ছিলাম ঢাকা কলেজের মেইন হোস্টেলের সুপারিন্টেনডেন্ট। হোস্টেলটি ছিল বেগমবাজার এলাকায় হাসিনবাগ, মোস্তফা হাউজ এবং নূরপুর ভিলায়।

এই হোস্টেলে তখন এমন সব মেধাবী ছাত্র অবস্থান করতেন,যারা পরবর্তীকালে তাদের কর্মজীবনে সামরিক ও বেসামরিক দিক থেকে উচ্চপদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। এমনকি কেউ কেউ বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্ত্রিসভার সদস্য পর্যন্ত হয়েছেন। আমার স্পষ্ট মনে আছে, বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সে দিন সাধারণ ধর্মঘট ডাকার কারণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য অনুকূল অবস্থা আর ছিল না। ছাত্ররা খেলাধুলার বদলে সেদিন ধর্মঘট সফল করার জন্য ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে রাস্তায় নেমে গিয়েছিল। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ছাত্রসমাবেশে যোগ দিয়েছিল।

বিকেলের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রদের অনেকেই যখন হোস্টেলে ফিরে আসছিল, তখন রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে বিক্ষোভরত ছাত্রদের ওপর পুলিশ গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়।"

তৎকালীন ঢাকা কলেজের ছাত্র আব্দুল গাফফার চৌধুরী এক প্রবন্ধে লিখেন, "২১ তারিখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরনো ভবনের আমগাছ তলায় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের বৈঠক বসে। সভায় আব্দুল মতিন, গোলাম মাহবুব সহ ভাষা আন্দোলনের আরো অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন।

এম আর আখতার মুকুলও ছিলেন। ঢাকা কলেজের ছাত্রবন্ধুদের সাথে আমিও ছিলাম।" সেদিন ভাষা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা একজন হলেন তৎকালীন ঢাকা কলেজের ছাত্র ইকবাল আনসারী খান (পরবর্তীতে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি ও রাজনীতিবিদ)।

( ২১ শে ফেব্রুয়ারি) ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ যখন ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করার পরিকল্পনা গ্রহণ করে তখন ১৪৪ ধারা ভঙ্গকারী প্রথম দলের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী ছিলেন ইকবাল আনসারী খান। মিছিল শুরু হওয়ার কিছু সময় পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।

২১শে ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে করা মিছিলের উপর পুলিশি হামলার পর বিকেলেই কয়েকজন শহীদদের লাশ মেডিকেল কলেজের আউটডোরে আছে শুনে তাঁদের দেখতে ছুটে যান ঢাকা কলেজের তখনকার ছাত্র আব্দুল গাফফার চৌধুরী।

তাঁর সঙ্গে আরও ছিলেন সাপ্তাহিক যায় যায় দিনের সাবেক সম্পাদক ও ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্র শফিক রেহমান, ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। গাফফার চৌধুরী একটি প্রবন্ধে বলেন, "হাসপাতালের আউটডোরের বারান্দায় ফ্লোরে শহীদ রফিকের লাশটি রাখা ছিল। গুলিতে তাঁর মাথার খুলি উড়ে গেছে। এ মৃতদেহটি দেখেই আমি 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো' কবিতাটি লেখার প্রেরণা পাই, যা পরে ভাষার গানে পরিণত হয়েছে।"

১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি দিনের স্মৃতিচারণ করে ঢাকা কলেজের তৎকালীন ছাত্র শফিক রেহমান একটি সাক্ষাৎকার এ বলেন, "দিনটি ছিল মেঘলা, মাঝে মাঝে হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। বেশ ঠাণ্ডা। ঢাকা কলেজ থেকে আমরা অনেক ছাত্র সেদিনের কর্মসূচিতে অংশ নেই। ঢাকা কলেজ তখন ছিল ফুলবাড়িয়ায়। মার্চে আমাদের ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

যা হোক, ২১ ফেব্রুয়ারির হত্যাকাণ্ড এবং নিহতের সংখ্যা নিয়ে ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক গুজব চলতে থাকে। ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ মিছিলে আমি এবং আবদুল গাফফার চৌধুরী পাশপাশি ছিলাম মিছিলে। কার্জন হল থেকে আমাদের মিছিলকে ধাওয়া করে পুলিশ। আব্দুল গনি রোড থেকে রাস্তা ক্রস করে আমি আর গাফফার চৌধুরী দৌড়ালাম। পুরনো হাইকোর্টের দিকের ফুটপাথে গেলাম।

ব্যাটনচার্জে আহত হয় আবদুল গাফফার। সে রাস্তায় পড়ে গেল। পায়ের গোড়ালিতে আঘাত লাগে। কোনো মতে একটি রিকশা পেলাম। নাজিমুদ্দিন রোড দিয়ে আহত গাফফার চৌধুরীকে নিয়ে ৩৭ বেচারাম দেউড়ির বাসায় ফিরলাম। এরপর চার মাস সে ছিল আমাদের সাথে।"

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার জনপ্রিয় নেতা শেখ মোহাম্মদ আবু হামেদ তৎকালীন সময়ে ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের, আরমানীটোলায় অবস্থিত কলেজ ছাত্রাবাস "বান্ধব কুটির" এর নির্বাচিত সদস্য (সংস্কৃতি) ছিলেন। মহান ভাষা আন্দোলনে তিনি সরাসরি অংশগ্রহণ করেছিলেন।

২১শে ফেব্রুয়ারি সকালে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে করা মিছিলে পুলিশের কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার ফলে তিনি আহত হন। শহীদ বরকতের মাথার খুলি থেকে নিঃসৃত রক্ত নিজের হাত ও রুমালে মেখে সেদিন সন্ধ্যায় "বান্ধব কুটির" এ ফিরেন।২১শে ফেব্রুয়ারি রাতে পুরো শহর জুড়ে বিরাজ করছিল থমথমে অবস্থা। জারি করা হয় কারফিউ। এসময় ঢাকা কলেজের তৎকালীন দর্শনের শিক্ষক ও হল সুপার জনাব সাইদুর রহমানের বাসা ৩৭ নং বেচারাম দেউরিতে অবস্থান আত্নগোপন করেন আব্দুল মতিনসহ ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্বস্থানীয় ছাত্রবৃন্দ।

ভাষা আন্দোলনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এবং কার্যক্রম পরিচালিত হয় এ বাসা থেকে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসে তাই অতি নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে ৩৭ নম্বর বেচারাম দেউড়ির বাসা, যা ছিল ঢাকা কলেজের কোয়ার্টার। সেখানেও ছিলেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী ও তাঁর বন্ধু শিক্ষক সাইদুর রহমান এর পুত্র শফিক রেহমান।

ঢাকা কলেজের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আশকর আলীর অনুমতি নিয়ে কলেজের সাইক্লোস্টাইল মেশিনটি নিয়ে যাওয়া হয় ৩৭ বেচারাম দেউরিতে। এ মেশিনের সাহায্যে ভাষা আন্দোলন বিষয়ে বান্ডেলের পর বান্ডেল লিফলেট, প্রচারপত্র তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়া হয় ঢাকাসহ সারা দেশে।

শফিক রেহমান একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, "আব্দুল মতিনসহ যারা আমাদের বাসায় আত্মগোপন করেন, তারা সিদ্ধান্ত নেন ২১ ফেব্রুয়ারি পুলিশের বর্বরতার খবর, রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার অধিকার, বাংলা ভাষার মর্যাদা এবং আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার খবর সংবলিত লিফলেট ও প্রচারপত্র সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার। কারফিউর মধ্যেও আমাদের বাসায় এসব কার্যক্রম চলে।

আমি নিজে লিফলেট ও প্রচারপত্র লিখেছি। আন্দোলনের স্বার্থে লিফলেট-প্রচারপত্র প্রকাশ ও প্রচারের জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা হলো। সাধারণ বাঙালিরা শুধু চাঁদা নয়, সব ধরনের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন। ফলে বান্ডেলের পর বান্ডেল লিফলেট-প্রচারপত্র তৈরি হতে লাগল আমাদের বাসায় রাখা ঢাকা কলেজের সাইক্লোস্টাইল মেশিনের সাহায্যে। " ঢাকা কলেজসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ও অন্য কর্মীরা এসব লিফলেটসহ প্রচারপত্র সারা দেশে পৌঁছে দেয়।

১৯৫৩ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি, প্রথম ভাষা শহীদ দিবস। ঢাকা কলেজের অবস্থান তখন বিলুপ্ত ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের পিছনে সিদ্দিক বাজারে। তখন ঢাকা কলেজের ল্যাবরেটরিতে ক্লাস করতে আসতো ইডেন কলেজের ছাত্রীরা। প্রথম ভাষা শহীদ দিবসে পরিকল্পনা করা হলো কলেজ ক্যাম্পাসে শহীদ মিনার নির্মাণের। কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ালো পুলিশ ও কলেজ প্রশাসন। বাধা উপেক্ষা করে ঢাকা কলেজের ছাত্র ও ছাত্র সংসদ নেতা ইকবাল আনসারী খান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, মাশির হোসেন প্রমুখের নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় নির্মাণ করা হয় শহীদ মিনার যেখানে আরও সহায়তা করেন ইডেন কলেজের বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হালিমা খাতুন, ব্ল্যাকি, জাহানারা, সুফিয়া সহ নাম না জানা অনেকেই।

এ সম্পর্কে ১৯৮১ সালে ইকবাল আনসারী খান এক লেখায় বলেন, "১৯৫২ সনে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্দীক বাজার অবস্থিত ঢাকা কলেজ প্রাঙ্গণে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করেছিলাম। এবং এজন্য আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল কলেজ থেকে এবং আমার একটা বছর নষ্ট হয়েছিল। তদানিন্তন প্রিন্সিপাল ছিলেন আমার বহিষ্কারের জন্য দায়ী। তবুও আমি একথা বলব তিনি তার কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করেছিলেন।"

পরবর্তীতে সেদিন সন্ধ্যায় পল্টন ময়দানে অবস্থিত ব্রিটেনিয়া সিনেমা হল মিলনায়তনে ঢাকা কলেজের ছাত্র ও সংসদ নেতাদের উদ্যোগে ভাষা শহীদ দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আব্দুল গাফফার চৌধুরীর রচিত "আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো" কবিতাটি আব্দুল লতিফের সুরে গান হিসেবে সর্বপ্রথম গাওয়া হয়। তখন সেই গানটি পরিবেশন করেছিলেন ঢাকা কলেজের ছাত্র আতিকুল ইসলাম, আসাফউদ্দৌলা, আনোয়ার উদ্দিন খান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, রফিকুল ইসলাম, জাহিদুর রহমান সহ ইডেন কলেজের ছাত্রীরা।

এ ঘটনায় ক্ষীপ্ত হয়ে ও শহীদ মিনার নির্মাণের অপরাধে ইকবাল আনসারী খান, ইনাম আহমেদ চৌধুরী, আতিকুল ইসলাম সহ ১০ জন ছাত্রকে দুই বছরের জন্য কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বদলি করা হয় শিক্ষক সাইদুর রহমান, মোজাফফর আহমেদ, ওয়াহিদ বখস কে। জাতিগঠনের অনবদ্য কারিগর ঢাকা কলেজ ও তাঁর সম্মানিত ছাত্র-শিক্ষকদের, যারা আমাদের দিয়ে গেছেন সম্মান, ইতিহাস ও গৌরবগাঁথা অর্জন, তাদের এই মহিয়ান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত দেশের সুপ্রাচীন ইতিহাস ভুলবার মতো নয়।

দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে গাঁথা থাকবে এই বিজয় স্মৃতি। দেশ ও জাতির অধিকার আদায়ে ঢাকা কলেজের ছাত্র-শিক্ষকদের অবদান ও আত্মত্যাগ অনস্বীকার্য। এখনো শিরদাঁড়া উঁচু রাজধানীর বুকে দেশের জন্য আত্মত্যাগে বলীয়ান বীরযোদ্ধা তৈরি করে যাচ্ছে।

BBS cable ad

বিশেষ সংবাদ এর আরও খবর: