হত্যা মামলার পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৪ঃ বংশাই নদী থেকে বস্তায় ভর্তি লাশ উদ্ধার
এলিট ফোর্স হিসেবে র্যাব আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের নৃশংস ও ঘৃণ্যতম অপরাধ নির্মূলের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে। সাম্প্রতিকসময়ে ছিনতাই, খুন-গুমসহ নৃশংসতম অপরাধসমূহ নিয়ে এলিট ফোর্স র্যাব বরাবরের মতই সর্বাধিক গুরুত্বের সাথে কাজ করে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অপরাধের মূল রহস্য উদঘাটন এবং অপরাধীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
গত ৩১/০৩/২০২১ তারিখ, একটি মহিলা অপহরণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পায় এবং উক্ত অভিযোগটি যাচাইপূর্বক র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল নিখোঁজ মহিলা উদ্ধার ও আসামী গ্রেফতারের লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে ০২/০৪/২০২১ তারিখ রাত ২২.০০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন নবীনগর এলাকা হতে উক্ত আভিযানিক দল নিম্নোক্ত আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
১। বাবু আকন (২৮); জেলা- ঢাকা।
উক্ত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সাহিদা আক্তার হ্যাপী (৩১) নামের জনৈক এক মহিলার সাথে আসামীর সম্পর্ক ছিলো। মহিলাটি আশুলিয়া থানাধীন কুরগাও এলাকায় বসবাস করতো এবং স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতো। তাদের সম্পর্কের এক পর্যায়ে বোঝাপড়ায় ঝামেলা হলে মহিলাটি তাকে ক্রমাগত বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। গত ৩১/০৩/২০২১ তারিখ রাত ২২.০০ ঘটিকায় আসামী বাবুর বাসার সামনে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হলে বাবু কৌশলে মহিলাকে তার নিজ ঘরে নিয়ে যায় এবং বাবু উত্তেজিত হয়ে ০১/০৪/২০২১ তারিখ অনুমান ১৫.০০ ঘটিকা থেকে ১৫.৩০ ঘটিকার মধ্যে মহিলার গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। অতঃপর মহিলার লাশ গুম করার জন্য লাশটি একটি চটের বস্তায় ভরে বংশাই নদীতে ফেলে দিয়ে আসামী বাবু আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে র্যাব-৪ এর আভিযানিক দলটি আসামীর স্বীকারোক্তি মোতাবেক বংশাই নদীর ব্রিজের উপর উপস্থিত হয়ে নিখোজ লাশটি ফেলে দেয়ার স্থানটি শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। নিখোজ মহিলার লাশ উদ্ধার এবং যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় বংশাই নদীতে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে এবং অদ্য ০৪ মার্চ সকাল ০৮.০০ ঘটিকার সময় বংশাই নদীর উক্ত ব্রিজের ২০০ গজ দক্ষিণে একটি ভাসমান দুর্গন্ধযুক্ত বস্তা হতে নিখোঁজ লাশটি নিহতের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী’কে আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
