কমিশনারের নির্দেশে কিশোর গ্যাং ও কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরএমপি সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে
কিশোর গ্যাং সারা দেশে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে। তারা পাড়া মহল্লার প্রভাবশালী, মাস্তান বা বড় ভাইদের হয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা একসাথে মাদক সেবন, পাড়া মহল্লায় নারীদের উত্ত্যাক্ত করাসহ ছোট-বড় ঘটনাকে কেন্দ্র করে মারামারি ও ঝগড়া বিবাদে জড়িয়ে পড়ছে। স্থানীয় চায়ের দোকানে দলগত আড্ডার ছলে তারা এলাকায় ত্রাশ সৃষ্টি করছে।
এসব ক্ষেত্রে ইদানিং সময়ে খুন ধর্ষণের মত ঘটনা বেড়েই চলেছে। কিশোর গ্যাং এর সদস্য অপরাধ করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা বিভিন্ন গ্রুপ তৈরি করে নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপন করছে এবং পরিকল্পনা করছে।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) কমিশনারের নির্দেশে কিশোর গ্যাং ও কিশোর অপরাধীদের বিরুদ্ধে আরএমপি সর্বাত্মক অভিযান শুরু করেছে।
এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শুক্রবার ১২ থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৫৬ জন কিশোর গ্যাং এর সদস্যকে আটক করা হয়। আটককৃতদের থানায় এনে যাচাই বাছাই করা হয়। যাচাই বাছাই শেষে ৩২ জনকে মুচলেকা নিয়ে তাদের অভিভাবকের নিকট জিম্মায় প্রদান করা হয়। বাকিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার(সদর) গোলাম রুহুল কুদ্দস জানান, এ ধরনের অভিযান আগামীতেও চলতে থাকবে। এ সমস্ত কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা অন্য কোন অপরাধের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সমাজ সংশিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়,শুধু রাজশাহী নয় সারাদেশের প্রতিটি বিভাগেই কিশোর গ্যাং নির্মূলে এমন পদক্ষেপ নেয়া এখন জরুরী হয়ে পড়েছে।ধর্ষণ,মাদক,ছিনতাই সকল অপকর্মের সাথে কিশোর গ্যাং কে ব্যাবহার করছে স্থানীয় দুস্কৃতকারী প্রভাবশালীরা।
আর এ ক্ষেত্রে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মহদোয়ের নতুন কর্মপন্থার মাধ্যমে রাজশাহী মহানগরকে এগিয়ে নিচ্ছেন নতুন উদ্যমে।