গায়েবি কান্নার উৎস খুঁজে ব্যবস্থা নিল পুলিশ

[বাংলাদেশ পুলিশ ফেইসবুক পেইজের ইনবক্সে মেসেজের ভিত্তিতে ব্যবস্থা।]
বাড়ির পাশেই নির্মানাধীন একটি আবাসিক প্রকল্প। রাতের বেলা প্রায়ই সেখান থেকে গায়েবি এক কান্নার শব্দ ভেসে আসে। কয়েকদিন চেষ্টা করেও রহমান সাহেব (কল্পিত নাম) জানতে পারেননি বিষয়টি কি। রহমান সাহেব থাকেন ঢাকার মিরপুরে। ঘটনাটি মিরপুর ২ নং সেকশনে তার বাড়ির কাছেই । তাই তিনি ভাবলেন পুলিশকে জানাবেন। তাদের সহায়তা নিবেন। বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত 'বাংলাদেশ পুলিশ ফেইসবুক পেইজ' এর কথা তার জানা ছিল। তিনি ইনবক্স করলেন।
তার বার্তাটি পেয়ে মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং ওসি মিরপুর মো. মোস্তাজিরুর রহমানকে নির্দেশনা দেন সাদা পোশাকে এই বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে। এই প্রেক্ষিতে, ওসি মিরপুর এসআই মো. নাজমুল হক ও এসআই মো. আব্দুর রাজ্জাক এর নেতৃত্বে সাদা পোশাকের একটি টিম প্রেরণ করেন। তার প্রত্যক্ষ তদারকিতে সাদা পোশাকের টিমটি পরপর দু’দিন রাতের বেলা সম্ভাব্য কয়েকটি বিল্ডিং ও আশপাশের এলাকায় খোঁজ নিয়ে অবশেষে রহস্যের জট খুলতে সক্ষম হয়।
একটি হাউজিং কমপেক্সের ভিতরে নির্মানাধীন ও বর্তমানে পরিত্যক্ত একটি বিল্ডিং-এ মো. জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি তার দুই শিশু বাচ্চা ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানায়। মিরপুরে নির্মানাধীন কমপ্লেক্সের যে পরিবেশে তিনি থাকতেন সেখানকার পরিবেশটা বেশ ভুতুরে। এখানেই প্রতিদিন তিনি তার সন্তানদেরকে হাত-পা বেঁধে মারপিট করতেন। তারই চিৎকার শোনা যেতো দূর থেকে। স্ত্রী ও বাচ্চাদের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্যাতনকারী পিতাকে আটক করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে উপযুক্ত আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।