চলনবিলে হারানো নৌকা বোঝাই যাত্রীদের সারারাত খুঁজে উদ্ধার করলো নাটোর জেলা পুলিশ
৯৯৯ এ ফোন পেয়ে নাটোর জেলা পুলিশ রক্ষা করলো ৪০ জনের জীবন। এদের মধ্যে ছিলেন- ১২ জন নারী, ২৩ জন পুরুষ ও পাঁচ শিশু। চলনবিলে বেড়াতে যাওয়া পথ হারানো এই যাত্রীদের বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে গুরুদাসপুর থানার যোগেন্দ্রনগর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। বৃস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে এসপি বলেন, বুধবার সকালে নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলা থেকে ইঞ্জিন চালিত একটি নৌকায় করে ৪০ জনের একটি নারী-শিশু-পুষের দল নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলন বিলে বেড়াতে আসে। বেড়ানোর এক পর্যায়ে তারা সন্ধ্যে সাড়ে ৭টার দিকে বিলের মাঝখানে তিসিখালী মাজারে যায়। সেখান থেকে তারা মাজার জিয়ারত এবং খাওয় দাওয়া শেষে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নৌকাযোগে আত্রাই এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তিন ঘণ্টা চলার পর বুঝতে পারেন তারা পথ হারিয়ে ফেলেছেন। এর মধ্যে প্রবল ঝড়বৃষ্টি এবং ঢেউ শুড়– হলে তারা আতঙ্কে পড়ে যান। কিন্তু চলনবিলের মধ্যে তারা তাদের দিক কিংবা অবস্থান বুঝতে পারে না। তারা প্রকৃতপক্ষে কোন জায়গায় অবস্থান করছে কিংবা কোন দিকে যেতে হবে তারা তা বুঝতে পারছিল না। এরপর তারা ‘৯৯৯’ এ কল করলে অনেক চেষ্টার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় পুলিশের ৫টি টিম সারারাত ধরে খুঁজে গুরুদাসপুর উপজেলার যোগেন্দ্রনগর এলাকা থেকে তাদের উদ্ধার করে নিরাপদে আত্রাই সীমানায় পৌঁছে দেয়।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় পড়ে নৌকা ডুবে তাদের ৪০ জনেরই প্রাণহানি ঘটতে পারতো। নৌকায় যথেষ্ঠ পরিমাণ আলো এবং লাইফ সাপোর্ট ছাড়া তাদের এভাবে ভ্রমণ করাটা মোটেও ঠিক হয়নি।