উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের জীপগাড়ি দেওয়া হচ্ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
সারা দেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে নিয়োজিত ডাক্তাররা যাতে মানসিক প্রশান্তি নিয়ে কাজ করতে পারেন সে বিষয়ে বর্তমান সরকার নানাবিধ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অনুকূলে জীপগাড়ি বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
সোমবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে সংসদকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে সন্ধ্যা ৬টার পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। অধিবেশনের শুরুতে স্পিকার প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত বলে ঘোষণা দেন।
বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োজিত ডাক্তাররা কমপক্ষে দুই বছর চাকরি করার পর উচ্চতর শিক্ষার সুযোগসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকেন। এসব উদ্যোগ গ্রহণ করার ফলে ডাক্তাররা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করতে আগ্রহী।
আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মো. হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ হতে ৩৯তম বিসিএসে (২য় পর্যায়) নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের বিশেষ ক্ষেত্রে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চাহিদার প্রেক্ষিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ করার জন্য সংযুক্তির মাধ্যমে পদায়ন করা হচ্ছে। উপজেলার চেয়ে নিম্ন কোনো প্রতিষ্ঠানে ৩৯তম বিসিএসে (২য় পর্যায়ে) নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের কাউকে পদায়ন করা হচ্ছে না। করোনার দ্বিতীয় ওয়েভ এর আশঙ্কা রয়েছে। তাই প্রয়োজনে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য সংযুক্তির আদেশ বাতিল করে উক্ত চিকিৎসকদের কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে পদায়ন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনার দ্বিতীয় ওয়েভের আশঙ্কা থাকায় বর্তমানে ৩৯তম বিসিএসে (২য় পর্যায়ে) নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের বদলি/ পদায়নের জন্য নিজ নিজ উপজেলা বা হেলথ কমপ্লেক্সে নিয়োগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা সরকারের আপাতত নেই।